
হস্তশিল্পী ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির আয় বাড়াতে কৃষি ও স্বনির্ভর মেলার উদ্বোধন
বাইজিদ মন্ডল: ডায়মন্ড হারবার:– হস্তশিল্পীদের এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোর আয় বাড়াতে রাজ্য সরকার জেলায় জেলায় গ্রামীণ মেলা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরকে এই মেলা আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী, কারিগর এবং তাঁতি সহ অন্যান্য দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার যোগ্য সমস্ত ধরনের তৈরি সামগ্রী বিক্রির জন্যই এই মেলা আয়োজন বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি” বাংলার বারো মাসে তেরো পার্বণ,শুধুমাত্র কথার কথা নয়। দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলায় গ্রামে গ্রামে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের উৎসব মেলা পার্বণ। সূত্র জানা যায় ডায়মন্ড হারবার লোকসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় সরিষা ভিন্নস্বাদ এর আয়োজনে ও এই মেলা কমিটির সম্পাদক সামিম আহমেদ এর ব্যবস্থাপনায় এদিন ২০ তম বর্ষ এমনি এক মেলা চলছে ডায়মন্ড হারবার সরিষা হাই স্কুল মাঠে। এদিন বিশিষ্ট জনদের সংবর্ধনার শুরুতে বর্ণাঠ্য শোভাযাত্রা এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও বস্ত্র বিতরণ এর মধ্য দিয়ে ১৭ দিনের এই কৃষি ও স্বনির্ভর মেলার শুভ সূচনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে,এস ডি পি ও শাকিল আহমেদ,ডায়মন্ড হারবার থানার আই সি ও বিডিও সহ ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদার,ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার পর্যবেক্ষক তথা এই মেলা কমিটির সম্পাদক সামিম আহমেদ, ডা:হা: ২ নম্বর ব্লক সভাপতি অরুময় গায়েন,২নম্বর ব্লক পূর্তকর্মাধ্যক্ষ অভিষেক ব্যানার্জি,জেলা পরিষদের সদস্যা মনমোহিনি বিশ্বাস,১নম্বর ব্লক পূর্তকর্মাধ্যাক্ষ সন্দ্বীপ সরকার,পঞ্চায়েত সমিতির সভাধিপতি লায়লা বিবি,পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রণব দাস,ভাইস চেয়ারম্যান রাজশ্রী দাস,শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য বিমলেন্দু বৈদ্য, টাউন যুব সভাপতি সৌমেন তরফদার কামারপোল পঞ্চায়েত প্রধান মইদুল ইসলাম মোল্লা সহ আরও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ। এই মেলা কমিটির সম্পাদক সামিম আহমেদ জানান ডায়মন্ড হারবারে হাজার হাজার মানুষ তাদের সারা বছরের অভাব অনটন দুঃখ কষ্টকে অধির আগ্রহে উপেক্ষা করে থাকে গ্রামীণ সংস্কৃতির ধারক ও বাহক এই ধরনের মেলা পার্বণ এর জন্য। কি নেই এই মেলায়? দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার যোগ্য সমস্ত ধরনের জিনিসের দোকান বসে এই মেলায়। বসে বড় বড় খাবার দোকান,শিশুদের জন্য থাকে বিনোদনের ব্যবস্থা। এই মেলায় সাধারণ মানুষের উচ্ছাস আনন্দ সবাইকে মনে করে দেয় যে,বেঁচে থাকার জন্য শুধুমাত্র অন্য বস্ত্র বাসস্থান যথেষ্ট নয়,তার সাথে সাথে দরকার বিনোদন আনন্দ। আর গ্রাম অঞ্চলের গরীব নিম্নবিত্ত যারা সমাজের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ এই সমস্ত মানুষের রোজকারের পাশাপাশি আনন্দ বিনোদনের এক মাত্র উপায় হলো এই মেলা পার্বণ। এছাড়াও অর্কেস্ট্রা সহযোগে সঙ্গীত প্রতিযোগিতা,হস্তশিল্পের ও কৃষিজ পণ্য,প্রদর্শনী প্রতিযোগিতা কেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতায় থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
