
হরিনাম সংকীর্তনে মেতে উঠল ভক্তরা
সৌভিক সিকদার, গলসী, পূর্ব বর্ধমান-: গ্রামের বাইরে বটগাছের নীচে বেশ কিছু নিদর্শন দেখে গলসীর দাদপুর গ্রামের ভক্তদের স্থির বিশ্বাস একদিন মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেবের চরণধুলি পড়েছিল তাদের এলাকায়। সেই বিশ্বাসের উপর বিশ্বাস রেখে ভক্তরা সেখানে মহাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিয়মিত ভোগ নিবেদন ও এককভাবে হরিনাম সংকীর্তন করতেন। ক্রমশ খবর পৌঁছে যায় পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির ভক্তদের কানে। ধীরে ধীরে সেটি ব্যক্তিগত পরিসর ছেড়ে গত ১৪-১৫ বছর ধরে সামগ্রিকতার রূপ পায়। গ্রামের ধনঞ্জয় ঘোষের উদ্যোগে ও সমগ্র গ্রামবাসীর সক্রিয় সহযোগিতায় গত ৩ রা জানুয়ারি মহাপ্রভু তলায় ভোর থেকে শুরু করে সারাদিন ধরে হরিনাম সংকীর্তনে মেতে ওঠে গ্রামবাসীরা। শুধু দাদপুর নয়, পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভক্তরাও এই মহাযজ্ঞে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন হরিনাম সংকীর্তনে অংশগ্রহণ করেন। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ মহাপ্রভুর ভোগ অন্ন গ্রহণ করেন। ধনঞ্জয় ঘোষ ছাড়াও হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানটি সফল করতে এগিয়ে আসেন গয়ারাম ঘোষ, আশিষ চ্যাটার্জি, কার্তিক ঘোষ, নীহার ঘোষ, চক্রধর ঘোষ, কার্তিক মোহন্ত, বাপ্পা চ্যাটার্জি প্রমুখ। মহাপ্রভুর উদ্দেশ্যে প্রণাম জানিয়ে ধনঞ্জয় বাবু বললেন, ছোট থেকেই আমাদের বাপ-ঠাকুরদাদের মহাপ্রভু তলায় ভোগ নিবেদন করতে দেখেছি। কেন দিচ্ছেন - জানার চেষ্টা করিনি। তবে ওখানে গেলে মনের মধ্যে এক অদ্ভুত অনুভূতির সৃষ্টি হয়। আমাদের বিশ্বাস সত্যিই মহাপ্রভু এখানে এসেছিলেন। তাই আমরা ভক্তরা একটা নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে মহাপ্রভুর হরিনাম সংকীর্তনে মেতে উঠি।


