
নেতাজির জন্মদিনের ছুটি বাতিল করাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার চিত্তরঞ্জনে,রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বাংলা পক্ষের
কৌশিক মুখার্জী: চিত্তরঞ্জন:-
চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ তরফে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনের ছুটি বাতিল করে দেওয়ায়,বাংলা পক্ষ তার বিরুদ্ধে চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।তাদের কর্মসূচি ছিলো জিএম অফিসে বিক্ষোভ করে জিএমের হাতে স্বারকলিপি দেওয়া।সেই অনুযায়ী বাংলা পক্ষের তরফে আগে থেকেই রেল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়।এবং তাদের কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল থেকেই তারা জিএম অফিসের সামনে জমায়েত শুরু করে।কিন্তু বাংলা পক্ষের তরফে অভিযোগ করা হয় তাদের জোরপূর্বক জিএম অফিসের সামনে থেকে আরপিএফের সরিয়ে দেয়।তাদের বলা হয় কোনো প্রকার জমায়েত বা স্বারকলিপি দেওয়া যাবে না।এমনকি চিত্তরঞ্জন রেল শহরের বাইরে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।রেল প্রশাসন তথা আরপিএফের এই মূর্তি দেখে বাংলা পক্ষের সদস্যরা তিন নম্বর গেটের বাইরে এসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন।যার ফলে চিত্তরঞ্জন শহরের ঢুকার মুখে প্রধান রাস্তা তিন নাম্বার গেট অবরোধ হয়ে পড়ে। বাংলা পক্ষের পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্যতম কর্মকর্তা অক্ষয় ব্যানার্জি জানান স্বাধীনতার যোদ্ধা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে রেল কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। বাঙালিদেরকে পদে অসম্মান করা হচ্ছে।তিনি আরো বলেন চিত্তরঞ্জন দাসকে রেল কর্তৃপক্ষ যথাযোগ্য সম্মান দেয় না।২৩শে জানুয়ারি ছুটি বাতিলের বিরুদ্ধে এবং বাংলার মনীষীদের সম্মান রক্ষা দাবি জানিয়ে তারা স্মারকলিপি জিএমের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেটিও দিতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের হাত থেকে চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ স্মারকলিপি গ্রহণ না করছেন ততক্ষণ তাদের অবস্থান বিক্ষোভ চলবে।তবে আড়াই ঘণ্টা অবরোধ চলার পর তাদের একটি প্রতিনিধি দলকে জিএম অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। এবং তাদের হাত থেকে স্বারকলিপি গ্রহণ করা হয়।তবে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে ডেপুটি জেনেরাল ম্যানেজার জানান আমরা কোন ছুটি বাতিল করিনি আগে যা ছিল এবারও তাই আছে। ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন এটা রেস্ট্রিক্টেড হলিডে অর্থাৎ যাদের ইচ্ছে হবে তারা ছুটি চাইবেন এবং যাদের ইচ্ছা তারা কাজ করবেন।



