স্বামী বিবেকানন্দ
সুপর্ণা বিশ্বাস (বজবজ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা)

জন্ম তোমার আঠারোশো তেষট্টিতে
তারিখ জানুয়ারীর বারো।
দত্ত বাড়ির সেই বিলেই;
বিবেক নামে খ্যাত।
বীর সেনাপতি তুমিই মহান,
তম চিত্ত সর্বদাই ভরা আনন্দে।
নিদ্রিত জাতি জাগ্রত হলো,
তোমারই আহ্বানে।
বিবেক তোমার আলোয় মাখা,
জীবজ প্রেমে ভরা।
তোমারই বাণীতে হৃদিকলশ হয় দূর,
মন্ত্রে বাজিল বিপুল শানি – স্বসি – ওঁ!
বিবেকের পথে জেগেছে ভারতে,
সমস্ত যুব শক্তি।
বিভেদ , বিচ্ছিন্নতা, দৈনহীনতা,
সবই তাঁর মন্ত্রে মুক্তি।
বীর্যবত্তা নাবিক তুমি,
দেখালে মানবপ্রেমের পথ।
প্রেম ও ত্যাগের মন্ত্রে দীক্ষিত ভারতবাসীর বুকে
জাগালে মানবতার শপথ।
আজকে বিশ্বজুড়ে বিচার বোধের অবক্ষয়,
ফিরে এসো হে স্বামীজি আবার বিশ্বময়।
স্বপ্ন দেখেছো স্বাধীন দেশের,
তিমির বিনাশ ভোর।
তাঁর মতে আত্মশক্তিই জীবনের আলো,
সেই দিয়ে খুলে যাক জীবনের সব দোর।
ভারত আত্মার মূর্ত প্রতীক,তুমিই বীর্যবত্তা,
তুমিই এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের শাশ্বত ধ্রুবতারা।
শিকাগো ধর্ম মহাসভায়
করলেন যিনি হিন্দু ধর্মের প্রচার,
বিশ্ব জুড়ে তিনিই হলেন
প্রকৃত মানবতার স্রষ্টাকার।
দেশে ফিরে গড়লেন তিনি বেলুড় মঠ,
যেটি মানবতার সেবার প্রকৃত প্রেক্ষাপট।
তাঁর মতে কেউ ছোটো নয়,
সবাই মানুষ ,সবাই স্রষ্টার দান।
তাঁর মতে জীবে প্রেম করে যেই জন ,
সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
রামকৃষ্ণ,সারদা মায়ের মানসপুত্র তুমি,
বেদ বেদান্তের অধ্যায়নে
ভারতই একমাত্র পুণ্যভূমি।
সপ্তঋষির এক ঋষি,
অরূপ তোমার মুরতি।
তোমার ধ্যানেই এই ভারত,
পেয়েছে পুণ্যভূমির খ্যাতি।
মহান সন্ন্যাসী তুমি,
তুমিই যুবসমাজের হিরো।
তোমার দীক্ষা মন্ত্রে যুব সমাজ
তারুণ্যের তেজে ঊদ্বীপ্ত।
যাঁর মতে জীব সেবাই শিব সেবা,
আধ্যাত্মিকতা যাঁর মূল মন্ত্র।
যিনি বলেছিলেন মুচি মেথর চণ্ডালকে না করো তুচ্ছ,
বলেছিলেন ওঠো ! জাগো ! দৃঢ় হও! শির করো উচ্চ।
লক্ষ্যে পৌঁছানো পর্যন্ত থেমোনা ।
তিনিই পরম মনীষী পরিব্রাজক স্বামী বিবেকানন্দ।।