সমাজকর্মী ও রক্ত যোদ্ধা হিসেবে মুক্তি সম্মানে সম্মানিত করা হলো চোদ্দ জনকে

সমাজকর্মী ও রক্ত যোদ্ধা হিসেবে মুক্তি সম্মানে সম্মানিত করা হলো চোদ্দ জনকে

বাইজিদ মন্ডল: ডায়মন্ড হারবার:– প্রতি বছরের মতো এবারও কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলে মুক্তি আয়োজিত সুন্দরবন মেলা ও কৃষি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে, সুন্দরবন উন্নয়নে যাদের অবদান আছে তাদের কথা মাথায় রেখে এবং এলাকার বিশিষ্ট রক্তযোদ্ধা সমাজসেবী সফিউদ্দীন মিদ্দে (লাল্টু) সহ জেলা তথা জেলার বাহিরের কিছু সমাজসেবীকে মুক্তি সম্মানের সম্মানিত করা হয়। এছাড়াও গুণীজন ব্যক্তি যাদের কে মুক্তি সম্মানে সম্মানিত করা হয়, ধনপতি নস্কর ক্যানিং,পরমেশ্বর মন্ডল রায়দিঘী,দেবীশংকর মিদ্দে কাশীনগর,সন্দীপন বারিক সাগরদ্বীপ,শ্যমল গায়েন সন্দেশখালী,কানাই মুখার্জী গোচরন,মায়া মন্ডল কৃষ্ণচন্দ্রপুর,নাজিবুল ইসলাম জয়নগর,দীনবন্ধু দাস সন্দেশখালী,অমল গায়েন বাসন্তী,শশাঙ্ক শেখর নিয়োগী,জ্ঞানরঞ্জন প্রামানিক,ব্রিজেন্দনাথ বৈদ্য সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ। বিশিষ্ঠব্যক্তি ও সমাজ কর্মীদের হাতে মুক্ত সম্মানের সম্মাননা উপহার তুলে দেন কৃষ্ণচন্দ্র পুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার মাইতি সহ অন্যান্যরা। উপস্থিত রক্ত যোদ্ধাদের মধ্যে একজন জানান এক দশক আগে রোগীর রক্তের প্রয়োজন হলেই শঙ্কা জেঁকে বসত স্বজনদের মনে, কোথায় মিলবে রক্ত। উপায়ান্তর না দেখে অনেকেই ধরনা দিতেন পেশাদার রক্তাদাতাদের কাছে। টাকা দিয়ে কেনা রক্ত রোগীর শরীরে দিয়ে সাময়িক প্রয়োজন মিটলেও ভর করত আরেক দুশ্চিন্তা। রোগ সারাতে আরেক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে না তো? আশার কথা, রক্ত নিয়ে দুশ্চিন্তার সময় এখন অতীত। ডায়মন্ড হারবার এ রক্তদাতা একদল তরুণ সারাক্ষণ অপেক্ষায় থাকেন একটি আহ্বানের, একজন মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজন,’খবর পেলেই ছুট। রোগীর ঠিকানা নিয়ে পৌঁছে যান হাসপাতালে। রক্ত দিয়ে ফেরেন হাসিমুখে। ডায়মন্ড হারবার শহরের একদল তরুণের এটি এখন রুটিন কাজ। স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা মানুষের পাশে থাকতে রক্ত যোদ্ধা সফিউদ্দীন মিদ্যে (লাল্টু)গড়ে তুলেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। রক্তদানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাঁরা ছুটে বেড়ান মানুষের জীবন বাঁচাতে। এমনও হয়েছে রোগীর নামধাম জানেন না, রক্ত দিয়ে চলে এসেছেন। এখন রক্তের অনেক চাহিদা? সামাল দেয় কিভাবে? মুখে হাসি টেনে রক্ত যোদ্ধা সফিউদ্দীন মিদ্দে (লাল্টু) বলেন, আমাদের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা এখন অনেক বেশি। সামাল দেওয়া কঠিন বটে, তবে পারছি তো,কারণ আমাদের বড় শক্তি হলো মনের জোর এবং আমাদের ফোলয়াররা। ফেসবুকে রক্তের আহবান পোষ্ট করলে ফলোয়াররা যোগাযোগ শুরু করেন। এর পর আমাদের নির্দেশনা অনুযায়ী রক্তদাতা পৌঁছে জান রোগীর কাছে। মুমূর্ষ রুগীরা সঠিক সময়ে রক্ত পেয়ে উপকৃত হয়ে খুশি রুগী ও রুগীর পরিবার রা।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )