
পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে ময়না তদন্তের অভিযোগ,যুবকের পরিচয় পাওয়ার পরেও অজ্ঞাত পরিচয় দিয়ে ময়না তদন্ত কেনো?
কৌশিক মুখার্জী: দূর্গাপুর:- পথ দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধার। তারপর দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠালো পুলিশ। কিন্তু যুবকের পরিচয় পাওয়ার পরেও ময়নাতদন্ত হলো অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবেই। তারপরেই শনিবার সকাল থেকে নিউ টাউনশিপ থানার বিধান নগর ফাঁড়ির সামনে ক্ষোভে ফেটে পরলো পরিবার। মৃত যুবকের নাম সোমনাথ প্রামানিক (২৭)। আসানসোলের সালানপুর থানার নেতাজি কলোনির বাসিন্দা। মাছের গাড়ির চালক ছিল। ইতিমধ্যেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর কমিশনারের কাছে মেইল মারফত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। মায়ের অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার রাতে সোমনাথ খালি গাড়ি নিয়ে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মাছ আনতে। সকাল থেকে ফোন করার পরেও সোমনাথ ফোন ধরে নি। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা ৭ নাগাদ দুর্গাপুর থানার ওয়ারিয়া ফাঁড়ি থেকে ফোন করে বলা হয় সোমনাথ জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা কবলে পড়েছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি আছে বলেও জানানো হয়। আমরা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছায়। এসে জানতে পারি আমার ছেলে মারা গেছে। ময়নাতদন্তও হয়ে গেছে। পুলিশের রাউন্ড গাড়ির সাথে সোমনাথের পিকআপ ভ্যানের ধাক্কা হয়েছিল। তবে সোমনাথের মৃত্যুর পর এইভাবে কেন ময়না তদন্ত করা হলো আমরা তার বিচার চাইছি।