
খনিতে অবৈধভাবে কয়লা কাটতে গিয়ে দু’জনের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা: রানীগঞ্জ:-
মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তর্জা জমে উঠল তৃণমূল, বাম ও বিজেপির মধ্যে। ঘটনাটি রানীগঞ্জের কুনুস্তরিয়া এরিয়ার বাঁশড়া খোলামুখ খনি এলাকার।অন্যান্য দিনের মত মৃত বিনোদ ভুঁইয়া ও রাজেশ তুরি এবং আহত রামপ্রবেশ বার্নওয়াল ও কারু ভুঁইয়া বাঁশড়া খনিতে অবৈধভাবে কয়লা কাটতে যায়। হঠাৎ তারা খনিতে গভীরে গড়িয়ে যায়। এদের মধ্যে দু'জন মাটি চাপা পড়ে মারা যায় এবং অপর দু'জন আহত হয়। আহতদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে মৃতদের আত্মীয়রা। এদিকে দুর্ঘটনার খবর সামনে আসতেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয় তৃণমূল, বিজেপি ও বাম দলগুলোর মধ্যে। তিন দলই ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং খনি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানায়।
তবে রাজনৈতিক দলগুলি কয়লা খাদানে মৃত্যুর জন্য ইসিএল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করলেও পুলিশের দাবি তারা মৃতদেহ দু’টি তারা মৃতদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে। যদিও বামনেতাদের দাবি - খোলামুখ খনি থেকে কয়লা কুড়োতে গিয়ে চারজন গড়িয়ে খনির গভীরে পড়ে যান এবং তারা মাটি চাপা পড়ে মারা যান। অপর দু'জন আহত হন। ক্ষতিপূরণ এবং কয়লা খনিতে চুরি বন্ধের দাবিতে সিপিআইএম কর্মীরা কোলিয়ারির এজেন্ট অফিস ঘেরাও করে ধর্নায় বসেন।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা এজেন্ট অফিসের গেটে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এবং তারা বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের অপদার্থতার জন্যই নিরীহ মানুষজনের প্রাণ গেল।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল ঘটনাস্থলে গেলে তৃণমূলের কর্মীরা তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। অগ্নিমিত্রা পাল মৃতদের বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিজনদের সান্ত্বনা দেন। পাশাপাশি খনির নিরাপত্তায় থাকা সিআইএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনিও অসহায় পরিবারগুলির জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি তোলেন।