চাষ করে লাভ না হওয়ার জন্য বিকল্প চাষে কৃষকরা

তন্ময় মাহারা: মালদা:- চাষে সেভাবে আর লাভ হচ্ছে না৷ তাই মালদার অনেক কৃষকরা এখন বিকল্প চাষের দিকে ঝুঁকছেন৷ কেউ কুল, কেউ কমলা লেবু, কেউ আবার অপ্রচলিত ফলের চাষ শুরু করেছেন৷ তেমনভাবেই আচার তৈরির বিশেষ ধরনের লঙ্কা চাষের দিকে ঝুঁকেছেন পুরাতন মালদা ব্লকের মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাঞ্জইল গ্রামের চাষি উপেন রাজবংশী৷ এই চাষে তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন স্ত্রী সুমিত্রা মণ্ডলও৷গত কয়েক বছর ধরেই রাজবংশী দম্পতি নিজেদের জমিতে এই প্রজাতির লংকা চাষ করছেন৷ এই প্রজাতির লংকা সিমলা লংকা নামে স্থানীয় বাজারে পরিচিত৷ যাকে আচারের লংকা হিসাবেই সবাই চেনে৷ জানা যাচ্ছে, এই প্রজাতির লংকার মূল উৎপাদক এলাকা রাজস্থান৷ তবে ভূটান, নেপাল সহ উত্তর প্রদেশেও এর চাষ হয়৷ এই প্রজাতির লংকা চাষের খরচও বেশ ভালো৷ তাই রাজবংশী দম্পতি পুরাতন মালদায় বেশ কয়েক বছর আগে শুরু করলেও অন্যান্য চাষিরা এই চাষে খুব একটা এগিয়ে আসেননি৷ স্থানীয় ৮-১০ জন চাষিই এর চাষ করছেন৷ তাঁদের বক্তব্য, প্রশাসনের সহযোগিতা মিললে এই লংকা চাষের আয়তন আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷চাষ করতে প্রতি বিঘাতে ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়৷ বাজারে দাম থাকলে এই লংকা চাষ করে ভালোই লাভ হয়৷ বর্তমানে কুইন্টাল প্রতি পাঁচ হাজার টাকা বাজারদর রয়েছে৷