অপরাধ দমনে ২৪ ঘন্টার নজরদারি শুরু করলো জেলা পুলিশ

অপরাধ দমনে ২৪ ঘন্টার নজরদারি শুরু করলো জেলা পুলিশ

তন্ময় মাহারা: মালদা:- বিগত কয়েকদিনে মালদা জেলায় যেভাবে সোনার দোকানে চুরি এবং ডাকাতির ঘটনা ঘটে চলেছিল সেই মর্মে এবার তৎপর মালদা জেলা পুলিশ প্রশাসন। মালদা শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এলাকা গুলিতে অপরাধ দমনে ২৪ ঘন্টার নজরদারি শুরু করলো জেলা পুলিশ। এমনকি শহরে যেসব জায়গায় অধিক পরিমাণে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দোকান এবং শোরুম রয়েছে, সেইসব জায়গায় মোতায়ন করা হলো সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পাশাপাশি রয়েছে অস্ত্রধারী পুলিশ ও। প্রতিটি স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশের জরুরী কালীন মোবাইল নম্বর। মালদা জেলা পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বঙ্গীয় স্বর্ণ শিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্মকর্তারা।সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে , পুলিশ খুব ভালো উদ্যোগ নিয়ে এই কাজ শুরু করেছে। এরফলে ব্যবসা ক্ষেত্রে রাতে সামান্য দেরি হলেও পুলিশের নজরদারির জন্য প্রত্যেক ব্যবসায়ীরা স্বস্তিতে থাকবে।উল্লেখ্য , মালদা শহরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এলাকা হিসেবে পরিচিত বিনয় সরকার রোড। এছাড়াও মালদা শহরের রাজমহল রোড, রবীন্দ্র এভিনিউ, নেতাজি সুভাষ রোড সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে  রয়েছে শতাধিক দোকান এবং শোরুম। সামনে দুর্গা পুজো এবং বিয়ের মরশুম আসতে চলেছে। ফলে এখন থেকেই বেচাকেনার পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে বলে জানিয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। এক্ষেত্রে রাতে দোকান বন্ধ করে যাওয়ায সময়ও দেরি হতে পারে। স্বাভাবিকভাবে এই পরিস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশের নজরদারিতে খুব ভালো হবে। বলাবাহুল্য , সম্প্রতি মালদায় বেশ কয়েকটি সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে চাচোল মহকুমাও রয়েছে। যদিও পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের ধরতে পারলেও, চুরি যাওয়া অনেক ক্ষেত্রে সোনার গয়না এবং নগদ টাকা উদ্ধার করতে পারে নি। ফলে ব্যবসায়ীদের মনে একটা আতঙ্ক থেকে গিয়েছে। পুজোর মরশুমে ভীড়ের সুযোগ নিয়ে কেপমারের দলও অনেক সময় অপরাধ সংগঠিত করার চেষ্টা চালায়। সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারির চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি সোনার দোকানে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা বসানোরও নির্দেশ দিয়েছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। সেই মোতাবেক অধিকাংশ স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নিজেদের দোকানে সিসি ক্যামেরার বসানোর পাশাপাশি ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীদেরও নিয়োগ করেছে। এবং অস্ত্রধারী পুলিশ ও থাকছে তার পাশাপাশি ২৪ ঘন্টা চলছে জেলা পুলিশের তরফ থেকে টহলদারি যাতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, জেলা পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মালদা জেলাবাসী।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )