
মকর সংক্রান্তির পর পরই মাঘী পূর্ণিমার , মাঘ মেলায় সর গরম গঙ্গাসাগর
সংবাদদাতা: সাগর:-
ঠিক দেড় মাসের ব্যবধানে গঙ্গাসাগর মেলার পর সাগরের বেলাভূমি আবার সরগরম লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থীরা সমাগমে। ২৪ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে চার দিনের মাঘ মেলায় ফের সরগরম হয়ে উঠলো গঙ্গাসাগর। চার দিন প্রায় পাঁচ লক্ষ পূণ্যার্থী সাগরে এসে পুণ্যস্নান করেন। এই মেলায় মূলত সরকারের কোনো প্রত্যক্ষ ভূমিকা না থাকলেও পরোক্ষভাবে স্থানীয় প্রশাসন তথা গঙ্গাসাগর বকখালি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং সাগর গ্রাম পঞ্চায়েত মেলায় পরিষেবা দিতে আসা সেছসেবী সংগঠন গুলিকে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত দমদমের পরিমল ট্রাস্ট , কাকদ্বীপের গৌর নিতাই সেবা সমিতি, লোকনাথ মিশন , বল্লভাচার্য আশ্রম(সাগর শাখা), বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি প্রভৃতি এই সংস্থাগুলি এই মেলায় দায়িত্ব নিয়ে পরিষেবা দিয়ে থাকে। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীকে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় তারা। প্রশাসন শৌচালয় , পানীয় জল , স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎ পরিষেবার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রেখেছিল। বাড়ানো হয়েছিল ভেসেল, লঞ্চ ও বাসের সংখ্যাও । ভেসেল চলাচলেও ছিলোনা কোনো বিরতি। মানুষের যাতায়াত ছিল নিয়মিত ও নির্বিঘ্ন । ফলে ভিড় সামলাতে পুলিশকে সেভাবে বেগ পেতে হয়নি। এই মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাগর সঙ্গম মেরিন মৎস্যজীবী খোটি সমবায় সমিতি লিমিটেড -এর অন্যতম উপদেষ্টা তথা স্থানীয় সাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান জানালেন এই মেলার মূল আকর্ষণ গঙ্গাপুজো। তারা তাদের ছাউনিতে এবার দশ হাজার মানুষের রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও তাদের তীক্ষ্ণ নজর ছিল যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা না ঘটে। আর সেরকম কিছু ঘটওনি। মেলা প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ২৩তারিখ সন্ধ্যায় সমবায় সমিতি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এসে জানালেন আগামীদিনে গঙ্গাসাগর ব্রিজ নির্মাণ হয়ে গেলে এখানকার খোলনোলচেটাই বদলে যাবে। বাড়বে আরো পুণ্যার্থীর সংখ্যা, এজন্য তিনি মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানান। বঙ্কিমবাবুর কথারই পুনরাবৃত্তি করেন সাগর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি স্বপন প্রধান সহ ভারত সেবাশ্রম সংঘের সাগর শাখার প্রধান জিতথমানন্দ মহারাজ। এর পাশাপাশি গঙ্গাসাগর বকখালি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান তথা দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলা পরিষদের সহ সভাধীপতি শ্রীমন্ত কুমার মালি ও নির্বাহী অধিকারিক নীলাঞ্জনা তরফদার ও সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রয় জানালেন মেলাকে কেন্দ্র করে যাতে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল জিবিডিএ -র পক্ষ থেকে। সব মিলিয়ে আক্ষরিক অর্থেই সাগর মেলার এক মাসের মধ্যে আয়োজিত এই মাঘ মেলা সাফল্য লাভ করেছিলো।