
সৎকার করার পর শ্মশানে ফেলে আসা নোংরা আসবাব পত্র মিশছে নদীর জলে
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, গুসকরা, পূর্ব বর্ধমান -: হিন্দু শাস্ত্রানুযায়ী মৃতদেহ শ্মশানে সৎকার করা হয়।এরফলে মৃতদেহের সঙ্গে থাকা জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। নিয়ম মেনে গুসকরা রটন্তী তলা এলাকায় গড়ে উঠেছে দু'টি শ্মশান - একটি চারপাশ ঘেরা এবং অপরটি কুনুর নদীর তীরে খোলা জায়গায়। শুধু গুসকরা নয় সংলগ্ন গ্রামগুলি থেকেও মৃতদেহ সৎকারের জন্য এখানকার শ্মশানে নিয়ে আসা হয়। ঘেরা শ্মশানে শবদাহ করতে হলে প্রয়োজন 'ডেথ সার্টিফিকেট' -এর। কিন্তু এখনো গ্রামবাংলার মানুষ স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে এই 'ডেথ সার্টিফিকেট' এর কথা ভাবেননা। ফলে তারা খোলা শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করে। বিপত্তি এখানেই। সৎকার করার পর মৃতদেহের সঙ্গে আনা বিছানাপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী নদীর তীরে দৃষ্টিকটুভাবে ফেলে রাখা হয়। এরফলে দৃশ্য দূষণের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ ঘটছে। শুধু তাই নয়, শ্মশানের পাশেই আছে কুনুর নদীতে স্নান করার ঘাট। বহু পূণ্যার্থী রটন্তী কালীর পুজো দিতে এসে সেই ঘাটের নোংরা জল ব্যবহার করেন। পূণ্যার্থীদের বক্তব্য, মৃতদেহ সৎকার করার পর মৃতদেহের সঙ্গে আনা বিছানাপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী ফেলার জন্য শ্মশানের পাশে একটা ভ্যাট রাখা হলে খুব ভাল হয় এবং শ্মশানযাত্রীদের অবশ্যই সেখানে সেগুলি ফেলতে হবে। পাশাপাশি নদীর তীর বরাবর শ্মশানের সামনে ছোট্ট একটা 'গার্ড ওয়াল' দেওয়া হলে পোড়া কাঠকয়লাগুলো নদীর জলের সঙ্গে মিশে সেটিকে দূষিত করতে পারবেনা। গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী বললেন, বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে। তবে এই বিষয়ে শ্মশানযাত্রীদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে নাহলে সমস্ত পরিকল্পনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।