চলো বসন্ত হয়ে বাঁচি

মৌসুমী মন্ডল (কলকাতা)

রৌদ্রনীল (রৌদ্র)….
বৃষ্টি দেখো দেখো শিমুল পলাশ কৃষ্ণচূড়ায় লালে লাল হয়ে বসন্ত এসে গেছে,
চলো না আমরা দু’জন আবারও ফাগুন রঙে রঙ্গিন হই।
আমি তোমার খোঁপায় গুঁজে দেব পলাশের রোদ্দুর।
দুপুর রোদে তুমি আমার হাতে হাত রেখে হাঁটবে,
কবিগুরুর গানে গানে তুমি আমি একসাথে গলা মেলাই না কতকাল!

বৃষ্টিরেখা (বৃষ্টি)….
এই মরেছে!
আবার তোমায় পাগলামিতে পেয়েছে রৌদ্র।
তুমি জানো না ফাগুনের তপ্ত রোদে আমার গালে মুখে ট্যান পড়ে যায়,
তোমার শরীরের গন্ধে আমি কেমন বেসামাল মাতাল হয়ে উঠি।
আমাকে সামলাতে সামলাতে শেষে,
প্রতিবারই তোমার বসন্ত বিলুপ্ত হয়ে যায়।

রৌদ্রনীল (রৌদ্র)….
সে আমি দেখবো ক্ষণ!
আমি তোমার ছায়া হব বৃষ্টি,
রোদ থেকে তোমাকে আড়াল করে রাখবো আমার হাতের আঙুলে।
কৃষ্ণচূড়ার ওই সবুজবীথি অরণ্যে যাই চলো,
চলো না এই বসন্তে আমরা ফাগুন রঙা আগুন হয়ে বাঁচি!

বৃষ্টিরেখা (বৃষ্টি)….
আরে আরে!
সে কী!
তোমার এই পাগলামিগুলো আমায় বড্ড বেশি এলোমেলো করে দেয় রৌদ্র,
আমার কাছে যে তুমিই ফাগুন।
তুমিই আমার বসন্ত,
তুমিই আমার পলাশ রাঙা কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম ভালোবাসা।
তোমাতেই আমার প্রকৃতির সৌরভ,
তোমাতেই আমার অনন্তের বসন্ত বন্দনা।

রৌদ্রনীল (রৌদ্র)….
ফের হেয়ালি!
এসো বৃষ্টি,
চলো আবারও আমরা অরণ্যে মিশে যাই।
ওই বুঝি ফাগুন বিদায় নেবে এক্ষুণি,
ওই বুঝি চলে যায় বসন্ত দিন আবারও!
আমি তোমাতেই আমার বসন্ত খুঁজি ,
বসন্তে খুঁজি তোমাকে।

বৃষ্টিরেখা (বৃষ্টি)….
বাঃ বেশ তো!
তাই বুঝি ওই শিমুলের ডালে তোমার কবিতার রংমহল,
কোকিলের কুহু রবে তোমার কবিতার সরগম।
পলাশের আগুন আভায় তোমার কবিতার প্রণয় অভিতাপ,
কৃষ্ণচূড়ার লালিমায় তোমার কবিতার মায়াবী আঁচলের হাতছানি।
তুমি ছুঁয়ে দিলেই আমি অষ্টাদশী পূর্ণ যৌবনা মেঘমালা,
তুমি ছুঁয়ে দিলেই আমি রুমঝুম বসন্তের বৃষ্টি জল।

রৌদ্রনীল (রৌদ্র)…
আমাকে বুঝি অনন্তকাল তোমার কথার বসন্তেই ভিজতে হবে!
চলো না বৃষ্টি এবারের বসন্ত ফুরোবার আগে, একটিবার আমরা প্রকৃতির বসন্ত মাখি গায়ে।
শুধু একবার তুমি আমি আমি তুমি আবারও হারাই আনমনে।
চলো বৃষ্টি আমরা এই ফাগুনেই,
আরও একবার বসন্ত বাঁধি মনে।
চলো না বৃষ্টি….
চলো।

বৃষ্টিরেখা (বৃষ্টি)…..
চলো রৌদ্র,
তোমার মোহন প্রেমের আকুতিতে,
আমরা আবারও বসন্তের বৃষ্টি গন্ধে মাতি;
আমি তুমি তুমি আমি আমরা আবারও বসন্ত হয়ে বাঁচি।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )