নদী ও মেঘ
শক্তি কুণ্ডু (কলকাতা)

নদীটা আকাশকে বলেছিলো
তুই আমার আয়না হবি!
আমার চলন বাঁকা হোক অথবা সোজা,কিংম্বা আঁকাবাঁকা,
সবটাই তোর চোখে আমি দেখতে চাই ৷
আকাশ বললো ধ্যাৎ, আমার চোখে সারাক্ষণ মেঘ লেপটে থাকে,
আমি মেঘ সরিয়ে তোকে কিভাবে দেখবো বল তো!
দিনের বেলার মেঘ, বিকেল বেলার মেঘ, রাতের বেলার মেঘ…
আমি সরাতে সরাতে ক্লান্ত হয়ে যাবো যে৷
তাছাড়া মেঘ আমার পূর্বপুরুষের দেওয়া উপহার,
এ আমার দম্ভ,
আমার অহংকার…আমি চূর্ণ করবো কিভাবে!
নদী বললো,
বা রে! ঐ যে পাখিরা মুক্তির স্বাদ নিতে তোর
বুকে ভেসে বেড়ায়…
তাদেরতো তুই ভাসতে দিস ,তাদের নির্ভার হতে দিস ,অথচ!
আমার আয়না হতে তোর যত দোষ !
আকাশ বললো,
ওটা ওদের সহজাত,ওরা মুক্তির স্বাদ কতটুকু পায় আমি জানি না,
তবে মেঘ দেখলে ভয় পায় বুঝি,
নীচে নেমে আসা দেখে৷
আকাশ বললো আমাকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে রাতের আকাশে নক্ষত্ররা জেগে ওঠে,তারারা
ঝিকিমিকি করে,
আমি তাদের সাথে পেরে উঠিনা,
তুই ও তেমন জেগে ওঠ,
আমার চোখে নয় ,নিজের শিরদাঁড়ায় ভর দিয়ে!
তোর চেতনায় থৈ থৈ করুক জ্ঞান,
যে জ্ঞানের আলোয় আমার অজ্ঞানতা ঘুঁচতে পারে,
বুঝলি পাগলী!!