মা হলো দাসী
সঞ্চিতা পোদ্দার (মালদহ)

ও বুড়ি মা এইভাবে রাস্তায় নেমে করছো কেন ভিক্ষা?
জানো তো ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছি যে শিক্ষা।
যা ছিল ধন সম্পত্তি টাকা শেষ হয়েছে ওর শিক্ষায়।
এখন ছেলে বড়ো অফিসার পালটে গেছে পুরোটাই।
ছেলে আমার বড়ো ফ্লাটে করছে বসবাস।
লোকের কাছে পরিচয় দেয় আমি ওর বাড়ির দাস।
কত কষ্টে ছেলেটাকে করলাম বলো মানুষ।
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ছেলে হলো অমানুষ।
বছরে বছরে ছেলে আমার কিনছে জায়গা জমি।
আমার খাবারটাই ওর কম পড়ে যখন তখনি।
তাদের ফ্ল্যাটের এককোণেও জায়গা নেই আমার।
আবার ফ্ল্যাটের মধ্যে পশুপাখির গড়েছে খামার।
অনেক আশায় ছেলেকে করিয়ে ছিলাম পড়াশোনা।
অগাধ টাকার লোভে সে যে মাকে চেনে না।
থেকেও আমার নেই গো কিছু সবই আমার দোষে।
সারাদিন ঘুরিফিরি আবার সময়ে কাঁদি একা বসে।
ছেলে ছেলে করেই জীবনটা করে দিলাম পার।
শেষ বয়সে এসে বুজেছি এই দুনিয়ায় কে বা কার।
এই দুনিয়ায় আমার আমার বলে হয় না কিছু আর।
জানো তো এই দুনিয়াটাই অবশেষে ভীষণ স্বার্থপর।
যার জন্য সারাজীবন খেটে খেটে জীবন করলাম শেষ।
এখন বলে তাড়াতাড়ি মরলে নাকি তার হবে
বেশ।