সুখ শান্তি
কৃষ্ণা গুহ (কলকাতা)

অন্ধকারে হাতড়ে বেরিয়েছি ,সুখকে নিজের করে পাব বলে !!
অনেক চাপা দুঃখ আর্তনাদে ডেকেছি বারবার সুখকে!!
মনের দেয়াল ঘেঁষে কে যেন কানে কানে বলে গেল , ওরে কোথায় খুজিস সুখ?
সে বুঝি দিয়েছে আগল!!
যা ফিরে যা নিজের ঘরে, নিভৃতে এক কোণে খুঁজে পাবি সাজানো পুষ্প রথে তোর আকাঙ্ক্ষিত সুখকে !!
সুখের সন্ধানে যেতে যেতেই কে যেন হেঁকে যায় শান্তি চাই ,শান্তি
কে নেবে গো শান্তি
শান্তি চাই শান্তি !!
সকাল থেকে হেঁকে যাচ্ছে ছেলেটা ,ইচ্ছে হলো ডাকি, এবার দেখি ওর ভেলকিটা!!
সুধাই তারে এ আবার কেমন তর হাঁক গো?
শান্তি আবার বিকোয় নাকি ! শুনিনি তো সেকথা কখনো!!
শান্তি এখানে বিকোয় সেই কবে থেকে —
তুমি হয়তো জানতে পারোনি থেকেছো দুয়ার এঁটে বসে।
কান্না যে বিকোয় সে কথা শুনেছো নিশ্চয়ই এতদিনে !!
হ্যাঁ হ্যাঁ রুদালী বলে ছিল রাজা মহারাজার দেশে।
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ছিলাম আমি ,এখন শান্তি বিলি করি ,পণ করেছি যদি মানুষেরে কিছু শান্তি দিতে পারি।
শান্তি এখন বিকোচ্ছে ভালো আমাদের এই বাংলাতে ,দে তবে শান্তি আমায় ভালো কাটাই জীবন অন্তে ।
শান্তির বাক্স হাতে নিতেই শরীর কেঁপে উঠলো, গুঞ্জনে ভরে উঠলো চারি দিক!!
“ওম সহানা ভবতু সহানা ভুঁনক্তু সহ বীরজং করাবাবই তেজস্বীনাম ধীতমস্তু মা বিদ্রিসাং
বাবৈ ,ওম শান্তি !শান্তি! শান্তি হি।”