মানবী
মিতি হালদার (কলকাতা)

আদুরে আলিঙ্গনে,বিলাসী মনে তে বিলুপ্ত সোহাগ,
একাকীত্বের নিঝুম দ্বীপের সেই অপরিচিতা মানবীর-
লবণাক্ত শরীরে,তখনও অহেতুক ফুল ফুল যৌবন।
লতানো অভিমানের আভিজাত্য খসে পড়ে ক্রমশ,
এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে দাঁড়ায় এসে সমুদ্রের কাছে।
সে জানে, তুষ্টির সাক্ষ্য সমীকরণহীন..গন্তব্য কঠিন,
তবুও একটু একটু করে অতিক্রম করে দুর্গম দূরত্ব।
অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণে আড়মোড়া ভাঙ্গে অন্তরঙ্গতা।
সমুদ্র কে প্রশ্ন করে মানবী-“বলো একবার,কে তুমি?
নিঃশব্দের কাছাকাছি,ভাঙ্গা গড়ার শব্দের হাতছানি,
কেন এমন ঐশ্বরিক সাজ,অপ্রাপ্তির কাটাছেঁড়ায়?
শুষ্ক মরুভূমির চাদরে,আদুরে কোন এক নিষিদ্ধ ঝঞ্ঝা,
কেন অভিধান ভুলে অস্তিত্বের মানচিত্রের অভিক্ষেপ?”
সমুদ্র বলে-” যদি সত্যিই জানতে চাও আমায় একান্তে,
তবে হাত রাখো,আমার এই স্পন্দিত বুকের শূন্যতায়,
ছুঁয়ে দেখো একটিবার,যত গোপন ঢেউয়ের নির্যাস,
নোনা জলে পা ভিজিয়ে এঁকে দাও জলজ আলপনা,
কান পাতো আড়ালে,স্বপ্নতত্ত্বের চুপকথারা কি বলে?”
মানবী নিরুত্তর,শুধু অনুভবে উত্তাপ খুঁজে চলে স্পর্শ,
আয়ুরেখার সীমান্তে আজ ডুব সাঁতার দেয়,শেষ বসন্ত,
মানবীর লবণাক্ত শরীর মিশে যায়,সমুদ্রের নোনায়।