
মাইথন ডিভিসির অবহেলায় অন্ধকারে নিমজ্জিত লেফ্ট ব্যাঙ্ক এলাকা
কৌশিক মুখার্জী: সালানপুর:-
মাইথন ডিভিসি প্রকল্পের লেফ্ট ব্যাঙ্ক এলাকা বর্তমানে চরম অব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক উদাসীনতার শিকার হয়ে অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। ডিভিসি কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তা সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। রাস্তার ধারে বিদ্যুতের খুঁটিগুলি ঝড়ের কারণে বেঁকে গিয়ে তার ঝুলে পড়েছে, যা যেকোনো মুহূর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। ক্যাম্প পাওয়ার হাউস বিভাগের অলসতার জন্য লেফ্ট ব্যাঙ্ক থেকে মাইথন ড্যাম পর্যন্ত জঙ্গল রোডের স্ট্রিট লাইটের লাইন কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে এই রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী এবং মাইথনে আগত পর্যটকদের চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যাওয়া এই রাস্তাগুলি সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ঢেকে যাওয়ায় এলাকায় অসুরক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মনোজ তিওয়ারি এ বিষয়ে বলেন, “আমরা ডিভিসি প্রশাসনকে একাধিকবার এই সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু এলাকার প্রায় সব স্ট্রিট লাইটই অকেজো। বিদ্যুতের খুঁটি বেঁকে গিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে, যা থেকে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ডিভিসি প্রশাসন লেফ্ট ব্যাঙ্ক এলাকার প্রতি সম্পূর্ণ উদাসীন। লেফ্ট ব্যাঙ্ক হাই স্কুল,পাম্প হাউস থেকে কল্যাণেশ্বরী পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত রাস্তার স্ট্রিট লাইট বিকল রয়েছে। এই এলাকার প্রতি ডিভিসি সবসময়ই সৎমার মতো আচরণ করেছে।”
এছাড়াও, ডিভিসির অব্যবস্থাপনার কারণে লেফ্ট ব্যাঙ্ক প্রাইমারি স্কুল জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। লেফট ব্যাঙ্ক হাই স্কুলে শিক্ষকের অভাবে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ডিভিসি প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলছে। মনোজ তিওয়ারি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি ডিভিসি শীঘ্রই এই সমস্যাগুলির সমাধান না করে, তবে স্থানীয়দের ক্ষোভ জন আক্রোশে রূপ নেবে এবং আন্দোলনের আকার ধারণ করবে।”স্থানীয়রা এই অবস্থার দ্রুত সমাধানের দাবি জানাচ্ছেন। ডিভিসির এই উদাসীনতা অব্যাহত থাকলে এলাকার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। মাইথনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এমন অব্যবস্থাপনা শুধু স্থানীয়দের জীবনযাত্রাকে বিঘ্নিত করছে না, বরং পর্যটনের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ডিভিসি প্রশাসনের কাছে এখনই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে।