বাসন্তীরহাট কুমুদিনী উচ্চবিদ্যালয়ে NSS এর ৭ দিনের স্পেশাল ক্যাম্পের আয়োজন

নিজস্ব সংবাদ দাতা, বাসন্তীরহাট:-

দিনহাটা মহকুমার বাসন্তীরহাট কুমুদিনী উচ্চবিদ্যালয়ে এন এস এস ইউনিট ৭ দিনের স্পেশাল ক্যম্পের শুভ সূচনা হয়েছে গত ১৯ মার্চ। অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবাশিস দেব। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের জাতীয় সেবা প্রকল্পের প্রাক্তন প্রোগ্রাম অফিসার মোফাজ্জল হোসেন এবং বর্তমান প্রোগ্রাম অফিসার সম্রাট দাস।

প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং এন এস এস ভলান্টিয়ার বৃষ্টি সরকারের রবীন্দ্র নৃত্যের মধ্যদিয়ে এই স্পেশাল ক্যাম্পের শুভ সূচনা হয় সকাল ১১ টায়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবাশিস দেব জানান, করোনা কালে বিদ্যালয়ের জাতীয় সেবা প্রকল্প ইউনিটের কাজ প্রায় বন্ধের মুখে চলে গেলেও পুনরায় আবার জাতীয় সেবা প্রকল্প ইউনিট ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বছরভর বিভিন্ন কর্মসূচী শেষে আজ ৭ দিনের যে স্পেশাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে তা সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হোক এই আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রাক্তন প্রোগ্রাম অফিসার তার বক্তব্যে জাতীয় সেবা প্রকল্প ইউনিটের বিভিন্ন দায়িত্ব সম্পর্কে জানান, সাথে কি ভাবে সমাজের সাথে মিশে গিয়ে নিস্বার্থ ভাবে সামাজিক হয়ে অঠা যায় তা ব্যাখা করেন।

প্রোগ্রাম অফিসার সম্রাট দাস বলেন, খুব দ্রুততার সাথে এবছর স্পেশাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। তবু বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম নিয়ে সাত দিনের স্পেশাল ক্যাম্প সাজানো হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা এই সাতদিনের ক্যাম্প থেকে উপকৃত হবেন বলেই তিনি আশাবাদী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান রাখা হয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা ‘অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের গর্ভধারনের বিপদ’ নিয়ে এক বিশেষ আলোচনা রাখেন।

২০ মার্চ অন্যান্য অনুষ্ঠানের সাথে ‘সাপের কামরে আর একটি মৃত্যুও নয়’ -এই বিষয়ে বিশেষ আলোচনা রাখে বিশিষ্ট সর্প বিশারদ তপন কুমার দেব। প্রায় ২ ঘন্টা ধরে উৎসুক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সাপ নিয়ে নানান আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সাপ নিয়ে সমাজে চলে আসা নানান ভুল ধারনা ভাঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের।

২১ মার্চ স্পেশাল ক্যাম্পে ভেষজ আবির তৈরির এক কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এই কর্মশালায় ছাত্রছাত্রীদের সাথে উপস্থিত ছিল ছোট শাকদল গ্রামের বাসিন্দারাও। প্রশিক্ষক সৈকত সরকার এবং সুজয় রায় এই ভেষজ আবির তৈরির প্রশিক্ষণ দেন।
সামনেই দোল পূর্ণিমা আর তার আগেই ভেষজ আবির তৈরি করে খুশি প্রশিক্ষনরত স্বেচ্ছাসেবকরা। তারা জানায় এবার দোল পূর্ণিমায় তারা নিজেরাই ভেষজ আবির তৈরি করে দোল উৎসব উদযাপন করবে।

আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই বিশেষ ক্যাম্প। আর প্রতিদিনই স্বেচ্ছাসেবকরা নতুন নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়ে সমৃদ্ধ হবেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের জাতীয় সেবা প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার।