তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অস্বস্তিতে দলীয় নেতৃত্ব

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অস্বস্তিতে দলীয় নেতৃত্ব

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী: দূর্গাপুর:-

    প্রচারের সময় বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা     কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীর সামনেই হাতাহাতি জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। আতঙ্কিত প্রার্থী কীর্তি আজাদ কোনোরকমে ছুটে পার্শ্ববর্তী মন্দিরে আশ্রয় নেয়। সেইসময় প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক মহলে। 

     জানা গেছে, দুর্গাপুরে আমরাই  উত্তরণ এলাকায় প্রচারের সময় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের দুই নেতা শেখ আমিনুর রহমান ও শেখ শাহাবুদ্দিনের গোষ্ঠীর মধ্যে  তর্কবিতর্ক শুরু হয়। পরে দুই গোষ্ঠী নিজেদের  মধ্যে হাতাহাতি জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে প্রার্থী মন্দির থেকে বেরিয়ে আসেন এবং পুনরায় শুরু হয় নির্বাচনী প্রচার।

   স্থানীয়দের মতে এটা হওয়ারই ছিল।২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পর দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের রাশ সিটুর পরিবর্তে আইএনটিটিইউসির হাতে আসে। শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতা শেখ শাহাবুদ্দিন সহ অন্যান্যরা এই সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব পান। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের কমিটিতে পরিবর্তন হয়। দায়িত্ব পায় আমিনুর রহমান গোষ্ঠী। নতুন করে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়। 

  এদিন শহীদ বেদীতে মাল্যদান করার পর দলীয় প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে শাহাবুদ্দিন ও তার দলবল মিছিল শুরু করলে কিছুটা দূরে  দাঁড়িয়ে থাকা আমিনুর রহমান গোষ্ঠীর সঙ্গে  হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। অস্বস্তিতে পড়ে যান প্রার্থী সহ দলের অন্যান্য নেতারা ।

   সেখ শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমরা যখন প্রার্থীকে নিয়ে মিছিল করছিলাম সেই সময় অনেক অবাঞ্ছিত লোক মিছিলে ঢুকে  গন্ডগোল করতে শুরু করে। আমি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাবো।’

   এই বিষয়ে আমিনুর রহমানের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )