
বিদ্যুৎ দপ্তরের তৎপরতা, দ্রুত ট্রান্সফর্মা পেল গণপুরবাসী
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, গুসকরা, পূর্ব বর্ধমান:-
একে কী বলা – সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রভাব অথবা বিদ্যুৎ দপ্তরের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি? বর্ণনা যেভাবেই করা হোক, শেষপর্যন্ত দ্রুত ট্রান্সফর্মা পেল গণপুরবাসী। গত ৬ ই এপ্রিল সাতসকালেই দুঃসংবাদ এসে পৌঁছে যায় পশ্চিম মঙ্গলকোটের গণপুর গ্রামের ঘরে ঘরে। ভোরবেলায় গ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎবিহীন গ্রামে পানীয় জলের সংকট দেখা দেয়। সঙ্গে তীব্র গরম তো ছিলই। বেশ কয়েকজন প্রবীণকে গাছের ছায়ার নীচে দেখতে পাওয়া যায়। তাদের কপালে দেখা যায় দুশ্চিন্তার বলিরেখা। কারণ খবর রটে যায় ৮ ই এপ্রিলের আগে নাকি ট্রান্সফর্মা পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। গ্রাম থেকে যোগাযোগ করা হয় স্থানীয় গুসকরা বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে। পরিস্থিতি অনুমান করে তিনিও উদ্যোগ নেন। সংবাদ মাধ্যম বিষয়টি সামনে আনে। অবশেষে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকের মানবিকতা ও কর্মীদের তৎপরতা এবং সঙ্গে গ্রামবাসীদের উদ্যোগের মিলিত প্রচেষ্টায় মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিকল ট্রান্সফর্মাটির পরিবর্তে একটি ভাল ট্রান্সফর্মা বসানো হয়। হাসি ফুটে গ্রামবাসীদের মুখে। তারা ধন্যবাদ জানায় বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীদের। গ্রামের অন্যতম প্রবীণ ব্যক্তি জনার্দন জ্যোতি বললেন - সকালে পানীয় জল ও গরমের জন্য খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভয় হচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত বিদ্যুৎ না এলে আগামী দু'দিন কিভাবে কাটাব! যেভাবে বিদ্যুৎ দপ্তর আমাদের সব দুশ্চিন্তার অবসান ঘটালো তারজন্য সত্যিই তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। বিদ্যুৎ দপ্তরের গুসকরা শাখার পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও জনৈক কর্মী বললেন - আমরা আমাদের গ্রাহকদের সর্বোচ্চ পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের দরকার গ্রামবাসীদের সহযোগিতা।