
রাণীগঞ্জে বন্ধ কারখানা, ধর্না মঞ্চে সিটুরপাশে আসানসোল বিজেপি বিধায়িকা
কৌশিক মুখার্জী: রানীগঞ্জ:-
পেপার মিলে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলানোর পরেও দেখা মেলেনি আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পালকে। এই নিয়ে যখন এলাকায় গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে ঠিক তখনই গত
৪ ঠা ফেব্রুয়ারি রানীগঞ্জের বল্লভপুর পেপার মিল গেটে আয়োজিত ধর্ণামঞ্চে এসে পৌঁছালেন বিধায়িকা এবং বাম শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের পাশে বসেই বিক্ষোভ আন্দোলনের সামিল হলেন। দাবী করলেন অবিলম্বে শ্রমিকদের সমস্ত বকেয়া প্রদান করে পেপার মিল কর্তৃপক্ষকে কারখানা চালু করতে হবে। হঠাৎ করেই বিধায়িকার এই আগমনের দিকে তির্যক মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলগুলি। বিধায়িকার পাশে বসেই বাম শ্রমিক সংগঠনের নেতা হেমন্ত প্রভাকর দাবি করলেন - সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারের কোন প্রতিনিধি আসেননি। দু'মাস পর এলেন বিজেপি বিধায়িকা। তার দাবি শ্রমিকদের স্বার্থে এতদিন লড়াইটা আমরাই করছিলাম। সিটুর পক্ষ থেকে পেপার মিল কর্তৃপক্ষকে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। সেই রাতেই সিটুর জেলা সভাপতি বংশগোপাল চৌধুরী পৌঁছেছিলেন। অথচ কেন্দ্রীয় শ্রম দপ্তরের অফিস কলকাতাতে থাকলেও তাদের আসার সময় হয়নি। তিনি দাবি করেন- ঘটনার জন্য রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকার সমানভাবে দায়ী।
তিনি আরও বলেন – এটা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। দেরিতে হলেও শ্রমিকদের হিতাকাঙ্খী হয়ে বিধায়িকা এসেছেন তাতেই আমরা খুব খুশি। আমরা তাকে স্বাগত জানাই। আমরা চাই শ্রমিকদের দাবি তিনি যেন সঠিক জায়গায় তুলে ধরেন। বিজেপি নেত্রী দাবি করেন- এখানে কোনো দল দেখে আসেনি। একটা কারখানা বন্ধ হয়েছে। শ্রমিক পরিবারগুলি সমস্যায় পড়েছে। তাদের স্বার্থে এসেছি। পরে তিনি রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ভর্ৎসনা সুরে বলেন - শ্রমিকরা সমস্যায় থাকলেও সমস্যার সমাধানে এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারের কোন প্রতিনিধি এখানে আসেনি। তাহলে কি মালিকের সাথে সরকারের কোনো অশুভ আঁতাত রয়েছে? গাফিলতির জন্য কেন্দ্রীয় শ্রম দপ্তরকেও তিনি কাঠগড়ায় তোলেন। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব উল্টো দাবি করে। তারা জানান - সবটাই রাজনীতির খেলা চলছে। তবে তারা শ্রমিকদের সাথে আছেন। তাদের দাবি খুব শীঘ্রই সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে।