গোকর্ণী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ডাক্তার নার্স ও বেডের দাবিতে নাগরিক কনভেনশন

গোকর্ণী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ডাক্তার নার্স ও বেডের দাবিতে নাগরিক কনভেনশন

বাইজিদ মণ্ডল: মগরাহাট:– যুগদীয়া- বেনীপুর বেডেড প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্বাধীনতার পরে পরে গড়ে উঠেছিল, তারপর একটা সময় ননবেডেড ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেয়া হয়। তারপর থেকে পরিষেবা পরিকাঠামোর অবনমন হতে হতে অস্তিত্বের সংকটে দাঁড়িয়ে আছে। দীর্ঘদিন ডাক্তার ছিল না, কন্ট্রাকচুয়াল কর্মীরা এবং একটা নার্স দিয়ে চিকিৎসা চলছিল দীর্ঘদিন। চিকিৎসার এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে এলাকায় গড়ে ওঠে গোকর্ণী- যুগদীয়া হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা প্রস্তুতি কমিটি। চব্বিশে ডিসেম্বর ২০২৩ একটি ছোট্ট নাগরিক কনভেনশন এর মধ্য দিয়ে সেই কমিটি গড়ে ওঠে। তারপর থেকে লাগাতার আন্দোলন চলছে। কখনো স্বাক্ষর সংগ্রহ ,কখনো বিভিন্ন স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে ডেপুটেশন, পাড়ায় পাড়ায় স্বাক্ষর সংগ্রহ ,পথসভা, মিছিল, বিক্ষোভ চলতে থাকে। ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে ডাক্তার আসা শুরু হয়েছে কিন্তু অনিয়মিত, নির্দিষ্ট টাইম মেনে ডাক্তার আসছে না। রোগীরা দীর্ঘ সময় এসে বসে থাকছে হয়রানি হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। যদিও হাসপাতালে কিছু কিছু কাজ কর্ম আন্দোলনের চাপে করতে বাধ্য হচ্ছে স্বাস্থ্য প্রশাসন। সেই ধারাবাহিকতায় এদিন যুগদীয়া- বেনীপুর হাসপাতাল মোড়ে বিশাল নাগরিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। এই কনভেনশনের সভাপতিত্ব করেন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম সভাপতি কবীর মোল্লা।এছাড়াও এখানে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের জেলা কমিটির সদস্য বিশিষ্ট চিকিৎসক স্বাস্থ্য আন্দোলনের নেতা অদ্যয় ঘোষ, সামাজিক আন্দোলনের বলিষ্ঠ নেতা বিশিষ্ট আইনজীবী সাইদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য আন্দোলনের নেত্রী নাজীরা খাতুন,বিজ্ঞান সংগঠনের কর্মী মনিষা দীন্দা। মুফতি হাবিবুল্লাহ এবং মুফতি জাকারিয়া, এরা এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অতীত ইতিহাস এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নয়নের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন এবং আগামী দিনে আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। ডাক্তার অদ্যয় ঘোষ বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার করুন পরিস্থিতি তিনি তার বক্তব্য তুলে ধরেন এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দাবি আদায় করতে হবে এটা তুলে ধরেন। বিশিষ্ট আইনজীবী সাইদুল ইসলাম আন্দোলনের বিভিন্ন বিষয় অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভাবে এবং আবেগের সঙ্গে তুলে ধরেন। বিশেষ করে এই আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য যুব সমাজের কাছে আহ্বান জানান। সব শেষে কবীর মোল্লাকে সভাপতি ও সোমনাথ নস্করকে সম্পাদক করে প্রায় ৫০ জনের একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করেন । এই সম্মেলন থেকে নতুন কমিটির নেতৃত্বে আগামী দিনে দীর্ঘস্থায়ী লাগাতা শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার অঙ্গীকার ঘোষিত হয়।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )