পদত্যাগ হাসিনার, উদ্বিগ্ন মমতা

পদত্যাগ হাসিনার, উদ্বিগ্ন মমতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফাইনাল এক্সপোজার:- এমনিতেই সীমান্তবর্তী রাজ্য হিসাবে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে প্রায় চার সহস্রাধিক কিমি. সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটেই থাকে। সেটা নিয়ে সারাবছর একটা উদ্বেগ থেকেই যায়। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সেই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী বলেন, 'সকলেই আমাদের ভাইবোন। বাংলাদেশের ঘটনায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। দুই দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য হোক।' সবাইকে তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানান। বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির শুরুটা হয়েছিল কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ। তাদের দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য কোনো ক্ষেত্রেই ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখা যাবেনা। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালালে একাধিক ছাত্র নিহত হয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকে। সেনাবাহিনী নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। জারি করা হয় কারফিউ। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইণ্টারনেট পরিষেবা। এই অবস্থায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর চাপ বাড়তে থাকে। শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীও নাকি পদত্যাগের জন্য হাসিনার উপর চাপ দিতে থাকে। যদিও তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে রাজি ছিলেননা। কিন্তু দেশের সেনাবাহিনী ও সাধারণ মানুষের চাপের মুখে অবশেষে পদত্যাগ পত্র পেশ করে বোনকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটা নাগাদ নিজের বাসভবন থেকে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারে চেপে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন হাসিনা। জানা যাচ্ছে পরে তিনি দিল্লি হয়ে লণ্ডনে যেতে পারেন। স্থানীয় সময় বিকেল তিনটে নাগাদ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন সেনাবাহিনীর প্রধান। পুনরায় সেনা-শাসনের সূত্রপাত হয়। এদিকে বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতি উপলব্ধি করে ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে সুরক্ষা বাড়াল বিএসএফ। বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়ে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে ভারত সরকার।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )