ন্যাপথলিন কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত শ্রমিকের পাশে নরেন্দ্রনাথ

ন্যাপথলিন কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত শ্রমিকের পাশে নরেন্দ্রনাথ

নিজস্ব প্রতিনিধি: দূর্গাপুর:-

বুধবার বিকেলে দূর্গাপুরের আরআইপি প্লটে একটি ন্যাপথলিন কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কারখানায় দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে কারখানার অমর দাস নামের এক কর্মী আগুনে ঝলসে আহত হয়। আহত কর্মীর বাড়ি দূর্গাপুরের প্রতাপপুর এলাকায় বলে জানা গেছে।অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে দূর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এনটিপিএস বা নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ ও দু’টি দমকলের ইঞ্জিন। দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। ঘন্টা কয়েক পরে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান কারখানার ফার্নেস ফেটেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দমকলকর্মীদেরও প্রাথমিক তদন্তের পরে অনুমান, কারখানার ফার্নেস ফেটে এই ঘটনা ঘটেছে।তবে আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে কারখানা কতৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।
আগুনে ঝলসে যাওয়া ওই কারখানারই শ্রমিক অমর দাসকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে থেকে তারপর স্থানান্তর করা হয় বিধাননগরে একটি সুপারস্পেশালিটি বেসরকারী হাসপাতালে।ঘটনার খবর পেয়ে পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
সহ স্থানীয় ২৮ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শ্রীমতি অঙ্কিতা চৌধুরী ও তৃণমূল নেতা পঙ্কজ রায় সরকারের উপস্থিত থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ান।
অমর দাস পুড়ে যাওয়ার খবরটি বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কানে পৌঁছোতেই তিনি তাড়াতাড়ি পৌঁছোন ওই কারখানাতে। যদিও সেই মুহূর্তে কারখানা কর্তৃপক্ষ সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন। বিধায়ক এরপর সেখান থেকে সোজা চলে যান হাসপাতালে। সেখানে তিনি অমরবাবুর পরিবারের সাথে দেখা করেন। দেখা করেন চিকিৎসকের সাথেও। পুলিশের সাথেও কথা বলেন। আর্থিক সাহায্য করেন অমর দাসের পরিবারকে। সাথে অমরবাবু যাতে চিকিৎসার সব রকমের সহায়তা পান সে ব্যাপারেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )