রক্ত মাখা যোনির গায়ে তিলক চন্দন
শ্রী র জ ত (কলকাতা)

মৃত্যু থেকে জীবনের অভ্যুত্থান আমাকে ছুঁয়ে বলছে-
আমি বেঁচে আছি দ্যাখ,
আমি বেঁচে আছি জীবনের সমস্ত ভুল নিয়ে,
তোমার উলঙ্গ রক্তমাখা শরীর কে দূর থেকে দেখেও নীলা-
আমার প্রেমিকা, আমার আরক্তমুখ সূর্য প্রিয়া
তুমি আগুন ভালো বাসতে-
বিপ্লবী ঘ্রাণে সিক্ত হওয়া আগুনের সশব্দ আস্ফালন তোমার প্রেম ছিলো।
আমি তাকিয়ে আছি নীলা,
তোমার উলঙ্গ রক্তমাখা শরীরের দিকে তাকিয়ে
নতুন ভোর আমাদের জীবনে আসবে না-
সমস্ত নাগরিক কোলাহল থেমে যাবে আর মাত্র কয়েক দিন পরে-
এইটুকু সময় অপেক্ষা করো প্রিয়ে,
শব্দ থেমে যাক,
বৃষ্টি ঝড়ে যাক,
মানুষ ভুলে যাক,
তারপরে তোমার ক্ষতবিক্ষত যোনিতে আমি চন্দন তিলক এঁকে দেবো,
যে যোনির লালিত্য ময় পথ দিয়ে এসে প্রথম সূর্য কে দ্যাখা-
তাকে স্পর্শ করে শপথ নিলাম আমি
সমস্ত শহুরে আস্ফালন থেমে গেলে-
সমস্ত মানবেরা বাঁশির আওয়াজে পথ ভুলে বাঁশিওয়ালার পিছু পিছু হারিয়ে গেলে-
আমি শ্বাপদ স্বপ্নের অভিশপ্ত যক্ষ হয়ে
বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে যাবো সভ্যতার অন্তিম প্রভাতে।
ধ্যানস্ত বুদ্ধ কে ডেকে এনে দ্যাখাবো-
আমার হাতের পিস্তল..
বুদ্ধের প্রশ্নে হি হি করে হেসে উঠে বলুক সভ্যতা
বুদ্ধ তুমি ভুল ছিলে।