রানাঘাট দেবোগ্রামের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনকে ইতিহাসের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবীতে সামাজিক আন্দোলন

রানাঘাট দেবোগ্রামের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনকে ইতিহাসের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবীতে সামাজিক আন্দোলন

সংবাদদাতা: কলকাতা:- দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন করে সংশোধিত ভারতের ইতিহাস রচনার কাজ আজ বহুচর্চিত একটি বিষয় । অনেকেই অভিযোগ করেন স্বাধীনতার পর কংগ্রেস সরকারের আমলে বামপন্থী শিক্ষাবিদদের দিয়ে কাল্পনিক এবং পক্ষপাতদুষ্ট ইতিহাস লেখানো হয়েছে । ঠিক এই রকম সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাটির নিচে যে গুরুত্বপূর্ণ পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো রয়েছে তাদেরকেও যাতে ভারতের ইতিহাসে স্থান দেওয়া হয় সেই বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন শুরু করেছে “স্বস্তিক নিউজ পরিবার” এবং “ওয়েব জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার” পশ্চিমবঙ্গ শাখার সদস্যরা । রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজনৈতিক প্রভাবের বিরুদ্ধে, কিন্ত দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানা অবশ্যই দেশবাসীদের জন্মগত অধিকার কারণ অতীত ইতিহাসে করা ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই একটি ত্রুটিহীন শোষণমুক্ত সমাজ আমরা গঠন করতে পারব । আমরা ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সম্পর্কে তথ্য দেশের পুরাতত্ত্ববিভাগ ও শিক্ষামন্ত্রণালয়কে জানাচ্ছি । তবে সবার আগে আমরা পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাটে অবস্থিত গাংনাপুর অঞ্চলের দেবগ্রাম বা দেবলগড়ের প্রায় দুই থেকে তিন হাজার বছর আগের ইতিহাসের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষা ব্যবস্থাকে অবগত করে এই ইতিহাস যাতে খননকার্যের পর ইতিহাস বইয়ের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেই বিষয়ে প্রয়াস করছি । তবে আমরা বিশ্বাস করি কোন অঞ্চলের ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতির সঠিক তথ্য আহরণের জন্য সেই অঞ্চলের ভূমিপুত্র এবং সেই অঞ্চলের এই বিষয়ে কাজ করা সংগঠন গুলোর ভূমিকা অনস্বীকার্য । দেবগ্রাম ট্রাস্টের সভাপতি চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস তাঁর বাড়ির একটি অংশ সংগ্রহশালা হিসেবে ট্রাস্টকে দান করার পাশাপাশি শুরুর দিনগুলোতে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন উদ্ধারের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা উল্লেখ করেন। ট্রাস্টের সহসভাপতি সঞ্জয় ভৌমিক এবং কোষাধ্যক্ষ অধীশ হালদারের বক্তব্য ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব বিষয়ের ছাত্রছাত্রী এবং গবেষকদের কাছে গবেষণার পীঠস্থান হতে পারে এই দেবগ্রাম সংগ্রহশালা, তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারি সাহায্য প্রয়োজন । ওয়েব জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার অফিস সেক্রেটারি অনামিকা মন্ডল এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী, চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস, সঞ্জয় ভৌমিক, অধীশ হালদার, তিলক পুরকায়স্থ, রঞ্জন সিকদার, বিশ্বজিৎ রায়, শুভেন্দু মিত্র, অনির্বাণ বসু সহ সবাইকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি সমাজের সর্ব স্তরের মানুষ, সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান যাতে এগিয়ে এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তার জন্য সকলের কাছে আবেদন করেছেন ।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )