
শুভেন্দু অধিকারীকে পুলিশের বাধা ও হেনস্তা করার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে বিজেপি নেতা ও কর্মীরা
রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: আসানসোল:-
হাওড়া জেলার বেলগাছিয়ায় ধসে গৃহহীন হয়ে পড়া সাধারণ মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে পুলিশের বাধা ও হেনস্তা করার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজ্যের সাথে আসানসোলের বিএনআর মোড়ে জিটি রোডের মধ্যে সোমবার বিকেলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান আসানসোলের বিজেপি নেতা ও কর্মীরা। বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধায়িকা তথা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
বিক্ষোভকারীরা প্রায় ৩০ মিনিটের জন্য বিএনআর ব্রিজটি অবরুদ্ধ করেছিল, যা ট্র্যাফিক ব্যাবস্থাকে পুরোপুরি ব্যাহত করেছিল। বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধায়িকা তথা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল।প্রায় আধঘন্টা অবরোধ বিক্ষোভের জন্য বিএনআরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে আসানসোল দক্ষিণ থানা ও ট্রাফিক গার্ড পুলিশ। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের রাস্তা অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করলে বিজেপি নেতারা তাদের রাস্তা অবরোধ তুলে নেন।
অগ্নিমিত্রা পাল ছাড়াও জেলা সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য ও রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখার্জী সহ নেতা কর্মীরা।
এদিন আগ্নিমিত্র পাল বলেন আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আজকে হাওড়াতে গিয়েছিলেন খোঁজ খবর নিতে। সেখানে যে ধস নেমে প্রচুর মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেখানে বহু মানুষ কষ্টে রয়েছে। কিন্তু উনি যাবার সাথে সাথে পুলিশ আটকালেন অথচ উনি যাওয়ার কিছুক্ষন আগে ফিরাদ হাকিম সেখানে গেলেন তাকে আটকানো হলনা ।অথচ বিরোধী দলনেতাকে শুধু আটকানো হল, তার হাত খামচে রক্ত বেরকরে দেওয়া হল ।এটা করা করলো মমতা ব্যানার্জীর পুলিশ। বারুইপুর বলুন আর হাওড়া বলুন, তৃণমূলের ক্যাডারকে দিয়ে আক্রমণ করা কালো পতাকা দেখানো। অসভ্য ভাষায় গালাগাল দেওয়া লঙ্কা জল ছুঁড়ে মারা,লাঠি দিয়ে গাড়িকে আক্রমণ করা, এরকম কেন হবে।এতে বোঝা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে কেউ সুরক্ষিত নেই। খুব কম সময়ের মধ্যে আমরা দলের তরফে এই আন্দোলন করলাম। জানি এরজন্য সাধারণ মানুষের অসুবিধা হলো। তাই আমরা আধঘন্টার মধ্যে রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভ তুলে নিলাম। কিন্তু শাসক দলকে বার্তা দিতে আমরা এটা করলাম। আগামী দিনে আরো বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।