ছায়া নাকি ছাপ !

সুপর্ণা বিশ্বাস (বজবজ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা)

জন্মলগ্ন থেকেই ভ্রূ-দ্বয়ের মাঝে ঈশ্বরলোকের চিহ্ন
বোধ হয় কেউ যেন এঁকে দিয়ে গেছে!
যেন অমাবস্যার রাত্রে টর্চের আলোর একবার জ্বলে ওঠা;
বিধবার সাজে মুখ ঢাকানো যৌবনের দিনগত পাপক্ষয়।

চোখের কোনে আলতো জমা দাগ,
ঠোঁটের কোণায় এক ফুট কালো তিলের আভা।
গাঢ় লাল লিপস্টিক না লিপবাম বোঝা বড়ই দায়!
সাজের বাহারে যন্ত্রণাদের শাস্তি দেওয়া থেকে শুরু করে
সর্বাঙ্গে দুধে আলতা রঙ কেউ যেন ঢেলে দিয়ে আপন মহিমায় বরণ করে নিয়েছে সাদরে।

মুক্তার হাসি লেপে সবাইকে স্বাগত জানানো…….
বুকের মাঝে পাহাড় সমান যন্ত্রণা নিয়ে।
গলার স্বর কাঁপা কাঁপা,
ঘাড়ের ব্যথার অস্থিরতা।

বাহু তুলতে না পারার গিলে নেওয়া কষ্ট;
বুকের ত্বকে মারণ রোগের ছাপ।
চামড়ায় সূক্ষ্ম গোলাপি দাগ।
চশমার কাচে ঘন কুয়াশার মতোন ঝাপসা;
গত রাতে পৃথিবী ছাড়ার অন্তিম আর্তনাদ ।

শেষবারের মতোন বোবা কান্না,
দিনভর জল সংকট ……
প্রখর রৌদ্রে জলাজমি যেমন খরা দেখে;
আমরাও দেখেছিলাম কোনো এক রাতে
অমাবস্যার শোকের তীব্র ছায়া।

পূর্ণিমার রাতে মেঘেদের যেমন হাওয়ার সাথে
গা ভাসিয়ে জ্যোৎস্নাকে ঢেকে দেওয়া ……
ঠিক তেমনি করেই হঠাৎ চলে যাওয়া
নিমেষেই সব হাহাকার ভেসে আসে
যেন ভালবাসার ভালোথাকা সবকিছুর লড়াইয়ের দীর্ঘ নিয়তি ।
ক্ষনিকের চাওয়া আর একটু কাছে থেকে যাওয়া…..
থাকলোনা । বোধ হয় থাকেনা…..
জলজ্যান্ত রক্ত মাংসেই জলের সংকট!!

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )