
বাঁশ বনে
সুবিমল মুখার্জী (বর্ধমান)
বাঁশ দিয়ে ঝুড়ি হয়
ছোটো বড় ডালা,
বাঁশ দিয়ে ঘর বাড়ী
হয় আটচালা ।।
বাঁশ বনে চাঁদ ওঠে
কোকিলের গান,
বৃষ্টিতে বাঁশ পাতা
ভিজে করে স্নান ।।
বাঁশ গাছ ঝোপ ঝাড়
“কোঁড়” খোলা নীড়ে,
একসাথে দোলা লাগে
বৈশাখী ঝড়ে ।।
বাঁশ গাছে দর দাম
কঞ্চির বেশী,
ছিপ দিয়ে মাছ ধরে
বাঁশ হবে দেশী ।।
লাঠি হাতে দারোয়ান
পাহারায় থাকে,
শিক্ষক পড়াতেন
পাঁচনটি হাতে ।।
জীবনের শেষ ক্ষণে
মরণের পরে ,
শুয়ে শুয়ে যাত্রা
বাঁশ খাটে চড়ে ।।
এত বাঁশ ঘিরে থাকে
নেতাদের পথে,
লাঠি হাতে মিছিলে
পারিষদ সাথে ।।
বাঁশ থেকে বাঁশরী
কৃষ্ণের ঠোঁটে,
রাধার মনের ফুল
প্রেম বনে ফোটে ।।
বাঁশের খুঁটি দেব দেবী
পুজো নিয়ে মাতলো,
উৎসবে লাঠি খেলা
কারও মাথা ফাটলো ।।
তেলতেলে সবুজে
কাঁচা বাঁশে ওঠা ,
অঙ্কেতে হনুমান
গোলমেলে ছোটা ।।
বাঁশ থেকে খেলনা
বাঁশ থেকে গাড়ী,
যত ভূত একসাথে
করে বাঁশবনে বাড়ী !
বাঁশ বুঝি ঘাস জাতি
ওঠে আকাশের দিকে,
বাঁশে সব ভয় পায়
পড়ে যদি পিঠে ?