
প্রয়াগরাজে যোগী সরকারের কুম্ভমেলা আধিকারিকদের সাথে পশ্চিমবঙ্গ হিন্দুমহাসভার সৌজন্য সাক্ষাৎ ও ডেপুটেশন প্রদান
সংবাদদাতা: প্রয়াগরাজ:- মহা শিবরাত্রির দিন গঙ্গাস্নান শেষে একশ চুয়াল্লিশ বছর পর আসা মহাকুম্ভ তিথির অবসান হলো এবং এবছরের মত কুম্ভমেলার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটলো । মেলার শেষদিন বিকেলে শিবরাত্রির গঙ্গাস্নান করে পশ্চিমবঙ্গ অখিলভারত হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে হিন্দুমহাসভার প্রতিনিধিমন্ডল প্রয়াগরাজে যোগী সরকারের কুম্ভমেলা আধিকারিকদের সাথে দেখা করে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন এবং ডেপুটেশন জমা দিলেন । পশ্চিমবঙ্গ হিন্দুমহাসভা রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে যোগী সরকার এবং কুম্ভমেলা আয়োজক কমিটিকে পৃথিবীর বৃহত্তম মেলা আয়োজন করার জন্য শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি মেলাতে একাধিক দুর্ঘটনায় পুণ্যার্থীদের মৃত্যুর জন্য গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে । এই প্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য এবারের মহাকুম্ভে প্রায় পঞ্চাশকোটি ভারতবাসীর এবং পঁয়তাল্লিশ লক্ষ বিদেশী পর্যটকদের গঙ্গাস্নান প্রমাণ করলো ভারতীয় সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতা শুধুমাত্র আমাদের দেশ নয় সারা পৃথিবীতে সমান ভাবে সমাদৃত । যোগী সরকারের কুম্ভমেলা আয়োজক কমিটির আধিকারিক এবং সদস্যদের নিশ্চই পৃথিবীর বৃহত্তম মেলা আয়োজন করার কৃতিত্ব দিতে হবে । তবে সাফল্যের গৌরবের পাশাপাশি বেশ কিছু দুর্ঘটনায় পুণ্যার্থীদের মৃত্যুর ঘটনা আমাদের হৃদয়ে যন্ত্রণার উদ্রেক করেছে । তীর্থযাত্রায় এসে পুণ্যার্থীদের মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং পশ্চিমবঙ্গ হিন্দুমহাসভা প্রত্যেক পুণ্যার্থীর আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে । আমাদের বিশ্বাস ভারত সরকারের রেল মন্ত্রকের আধিকারিকরা যদি আরো দায়িত্ববান হয়ে সতর্কতার সাথে কাজ করত তাহলে দিল্লী স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে তীর্থযাত্রীদের মৃত্যুর মত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা এড়ানো যেত । তবে গঙ্গাজলের অলৌকিক গুণ ও জীবাণুনাশক ক্ষমতা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করে । ইতিপূর্বেই ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত ইংরেজ বিজ্ঞানী হ্যাঙ্গরি হেনকিন এবং ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত ফরাসি বিজ্ঞানী ফিলিক্স গঙ্গাজলের স্ব-পরিশোধিত ক্ষমতা এবং সাধারণ বিশুদ্ধ জলের চেয়ে গঙ্গাজলে বহুগুণ বেশি দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ আবিষ্কার করে বিস্মিত হয়েছেন । আজও পৃথিবীর বিভিন্ন গবেষণাগারে গঙ্গাজলের অটোক্লিনসিং ক্ষমা নিয়ে গবেষণা চলছে । তাই আমরা অখিলভারত হিন্দুমহাসভা পশ্চিমবঙ্গ ঠিক করেছি মার্চ মাসে দোলপূর্ণিমার দিন থেকে আমাদের যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হতে চলেছে তাতে প্রত্যেক পুরনো সদস্য যারা মেম্বারশিপ রিনিউ করবেন এবং যারা নতুন সদস্যতা গ্রহণ করবেন তাদের প্রত্যেককে আমরা প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভের গঙ্গাজল এবং কালীঘাট মায়ের মন্দিরের ফুল ও প্রসাদ উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।
