আসানসোলে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

আসানসোলে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

অঙ্কিতা চ্যাটার্জ্জী: আসানসোল:-

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আয়োজনে আসানসোল গার্লস কলেজের সেমিনার প্রেক্ষাগৃহে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়। আজ সারাদেশের সাথে শিল্পাঞ্চলেও পালিত হলো আন্তর্জাতিক ভাষা শহীদ দিবস। শুক্রবার প্রদীপ জ্বালিয়ে মাতৃভাষা দিবস অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। “বাংলার মাটি বাংলার জল” রাজ্য সংগীত গান ছাড়াও আরও অনেক দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিভিন্ন সঙ্গীত দলের শিল্পীরা ও কলেজের ছাত্রীরা।
মহুকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য নিজেও সংগীত পরিবেশন করেন।

মন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলা শাসক সহ এই দিনটির তাত্পর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন অনেকেই।
উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইন ও শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নবলম, অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) সঞ্জয় পাল, আসানসোল মহুকুমা শাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, আসানসোল গার্লস কলেজের প্রিন্সিপাল মনিকা সাহা, জেলা তথ্য দপ্তরের আধিকারিক আজিজুর রহমান,আসানসোল মহুকুমা তথ্য দপ্তরের আধিকারিক নরেন্দ্রনাথ দত্ত সহ অন্যান্য অতিথিরা।
প্রসঙ্গত,১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের ঢাকার রাজপথ তাদের বুকের রক্তে লাল করে শহীদ হয়েছিলেন রফিক,জব্বার,সালাম,বরকত সফিউররা। পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষার জন্য রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দেওয়ার প্রথম নজির এটি। বাংলাদেশের গৌরবময় অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। সমগ্র বিশ্বের অনেক দেশে এই দিনটি মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )