বেছন্দে
মৌসুমী মুখার্জী (খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর)

লোক দেখানো ভালো থাকায় মিথ্যে হাসি মুখে,
বেহায়া লাগে নিজেকে ভাবতে এবার, মরছে মানুষ দুখে।
লাশের পরে লাশ জমেছে খুঁটিয়ে দেখতে দোষী,
সাদা থানের অভাব হবে, চললে যেমন খুশি।
জানি সুখ দুঃখ নিয়েই চলা সংসার সীমান্তে,
নীচের দিকে তাকিয়ে দেখলে পারবে তা জানতে,
অসহায় মানুষ গুলোর ক্রমশঃ হাল হকিকত,
খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান সংস্থান, নেই মাগফেরাত।
শাসক শোষকের যুগান্তব্যাপী অন্যায় অত্যাচার,
সয়ে সয়ে শিকলে আবদ্ধ, রক্ত পড়ে না আর।
হররোজ লুঠছে তাদের সমাজবদ্ধ মুনাফাবাজ,
নিম্ন-মধ্যবিত্ত মার খাচ্ছে সরকারের সরফরাজ।
রাজা মন্ত্রী ঠিকই আছে, আড়াই চালে বুদ্ধিজীবী,
বোড়েদেরই হাপসে যাচ্ছে চটা ওঠা খেল মাদারী ।
গজ নৌকায় বিত্তবান কোটি টাকার মালিক পেশা,
গদির তলায় লেনদেন মুর্খ চোষা তাদের নেশা।
মৃত্যু নিবন্ধন কবিতার, ছন্দে লেখা আজ নাই বা হলো,
প্রতিবাদী কলমে ধিক্কার ও শ্লোগান তোলো।
তাই নকল হাসি মুখে আমার অজান্তেই বিলুপ্ত,
জ্বলছে আগুন প্রতিবাদের আর রবে না সুপ্ত।