চলো বেরিয়ে পড়ি মনে মনে

নদেরচাঁদ হাজরা (কলকাতা)

চলো আজ ঘুরে আসি মহাতীর্থ পুষ্কর
আমার দেশের একমাত্র ব্রম্ভা মন্দির যেথায় রয়েছে বন্ধু৷
পদ্মপুরাণ বলে
দেব প্রজাপতি যজ্ঞের মানসে
হাতে নিয়ে পদ্ম করছিলেন ঘোরাঘুরি
একটি পদ্ম পড়ল খসে যখনি
সৃষ্টি হয়ে গেল তিনখানি সরোবর
একটি হল পুষ্কর৷
শুরু হয়ে গেল যজ্ঞ
সমস্ত দেবদেবী উপস্থিত
কিন্তু নেই প্রজাপতি পত্নী সাবিত্রী৷
অচিরেই দেবরাজ করলেন সমাধান
এক গোপকন্যারে রূপান্তরিত করলেন গায়ত্রী রূপে
তিনিই হলেন দেব প্রজাপতি পত্নী৷
যজ্ঞের মাঝখানে এলেন সাবিত্রী
দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্রম্ভারে দিলেন অভিশাপ
সেই থেকে পৃথিবীতে আর কোথাও নেই দেব প্রজাপতি মন্দির৷
সাবিত্রী ফিরে গেলেন পাশের পাহাড়ে৷
আজো সেইখানে তিনি করছেন অবস্থান
নিয়ে যাব বন্ধু তোমায় সেখানেও৷
আগে নিই এই স্থান৷
এই পুষ্করের জলে করেছেন স্নান
রাম সীতা লক্ষ্মন
স্নান করেছেন পঞ্চপান্ডব সহ জননী কুন্তী৷
কথিত আছে
শকুন্তলার জম্ম এই পুষ্করে৷
পবিত্র এ জলে আমরাও করে নেব অবগাহন
শোনা যায় এখানে ডুব না দিলে তীর্থদর্শন হয়না সম্পূর্ণ৷
স্নান সেরে দেখে নেব শ্বেতপাথরের ব্রম্ভামন্দির৷
রূপোর আসনে রূপোর মুকুট পরে হংসবাহন হয়ে বসে আছেন দেব প্রজাপতি, বাঁয়ে দেবী গায়ত্রী৷
পাশাপাশি শ্বেতপাথরের মন্দিরে আছেন মহাদেব গণপতি পঞ্চমুখী মহাদেব নারদ সূর্য আছেন সপ্তঋষি৷
এখানে দেখাব তোমায় অহল্যাবাঈয়ের মন্দির হোলকারের রাণীর মন্দির রাজা মান বিজয় সিংয়ের মন্দির জহুরীমালের প্রাচীন মন্দির৷
তবে বন্ধু প্রাচীন মন্দিরখানি আরঙজেব করেছিলেন ধ্বংস
এখন যে মন্দির দেখবে
সেখানি তৈরী করেছেন সিন্ধিয়ারাজ গোকুলচন্দ্র মহাশয়৷
নিয়ে যাব একটু দূরে পাহাড়ের মাথায়
দেখাব সোনার তালগাছখানি
আর সেই মন্দিরে আছেন কালো পাথরের রঙ্গনাথজী কৃষ্ণ৷
নিয়ে যাব সাবিত্রী পাহাড়
তিনশ ষাটটি ধাপ ভেঙে উঠে দেখে নেব শ্বেতশুভ্র দেবী সাবিত্রী৷
পাশে আছেন বীণাধারী দেবী সরস্বতী৷
আরেক পাহাড়ে রয়েছেন দেবী গায়ত্রী৷
দেখাব এখানে সন্তোষীমাতার মন্দিরখানা৷
পথের দৃশ্যও বন্ধু মন কেড়ে নেবে বারবার৷
পুষ্কর আর আজমীরের মাঝখানে রয়েছে নাগাপাহাড়৷
সেই পথ ভেঙে যাব বন্ধু ওই মহাতীর্থ পুষ্করে৷
চলো সব দ্বিধা ভেঙে আজ পুষ্কর মহাতীর্থে৷

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )