জাতীয় সুরক্ষা দিবস এবং সুরক্ষা সপ্তাহ পালন করল গুসকরা বিদ্যুৎ দপ্তর

জাতীয় সুরক্ষা দিবস এবং সুরক্ষা সপ্তাহ পালন করল গুসকরা বিদ্যুৎ দপ্তর

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী: গুসকরা:-

কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটলেও শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা বা যেকোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় সত্ত্বেও গত কয়েক বছর ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ইতিমধ্যেই বাংলার মানুষের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি লিমিটেডের আধিকারিক থেকে শুরু করে কর্মীরা। সবাই যখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সামাজিক উৎসবে মেতে ওঠে ওরা তখন সব ভুলে পরিষেবা দেওয়ার কাজে ব্যস্ত থাকে। তবে এখানেই তারা থেমে থাকেনি। একজন দায়িত্ববান নাগরিক হিসাবে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিপদ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য পথে নেমেছে। ৪ ঠা মার্চ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় সুরক্ষা সপ্তাহ পালন করে চলেছে। ব্যতিক্রম ঘটলনা গুসকরা বিদ্যুৎ দপ্তরেও ক্ষেত্রেও।সচেতন সংক্রান্ত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত একটি সুসজ্জিত ট্যাবেলো ও ফেস্টুনকে সামনে রেখে র‍্যালির মাধ্যমে ৬ ই মার্চ ৫৩ তম জাতীয় নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করল গুসকরা বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। এই র‍্যালি নিজেদের দপ্তরের সামনে থেকে বের হয় এবং গুসকরা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত পরিক্রমা করে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে যাতে কোনোরকম সমস্যা নাহয় সেই বিষয়ে তাদের সচেতন থাকতে দেখা যায়। পরে র‍্যালি আবার দপ্তরে ফিরে আসে।

র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানী লিমিটেডের বর্ধমান (নর্থ) ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার ইন্দাদুল মণ্ডল, সহকারী ম্যানেজার (এইচ.আর এণ্ড এ) অরিত্র রায়, সহকারী বাস্তুকার (টেক) শুভদীপ মণ্ডল ও তপন মুখার্জ্জী, সহকারী বাস্তুকার ও স্টেশন ম্যানেজার সন্তোষ কুমার দাস ও আব্দুর গফফর, জুনিয়র বাস্তুকার শঙ্কর সেন ও
সুপ্রভাত পাল, সিনিয়র অফিস কার্যনির্বাহী তাজউদ্দিন আহমেদ সহ দপ্তরের অন্যান্য কর্মীরা এবং তৎসহ গুসকরা পৌরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখোপাধ্যায় ও স্থানীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। ইন্দাদুল সাহেব বলেন - আমাদের লক্ষ্য হলো সবাই একসঙ্গে থেকে একে একটি দুর্ঘটনা শূন্য সংগঠনে পরিণত করা। সবার সহযোগিতায় আমরা অনেকটাই সফল হয়েছি। বিদ্যুৎ চুরি যাতে বন্ধ করা যায় তার জন্য তিনি সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি তিনি ঝুঁকি না নিয়ে সাধারণ মানুষকে স্থানীয় বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আবেদন করেন।

দুঃস্বপ্নের অন্ধকার কাটিয়ে চব্বিশ ঘণ্টা ধরে আলোকিত সন্ধ্যা উপহার দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করে কুশল বাবু বলেন – একসময় আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠলেও এদের জন্যেই আমরা কার্যত লোডশেডিং শব্দটা ভুলে গেছি। নিজ নিজ এলাকায় কাজ করতে যাওয়ার সময় দপ্তরের কর্মীদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি এলাকাবাসীর কাছে আবেদন করেন।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )