
দার্জিলিংয়ের বিধান নগর উৎসব শুকনো মুখে হাসি ফোটানোর উৎসব
সঙ্গীতা চ্যাটার্জী: দার্জিলিং:-
স্বামীজি বলেছিলেন যখন জন্মেছো একটা দাগ কেটে যাও- এই দাগ এমন ডাক হবে যে মৃত্যুর পরেও মানুষ তোমাকে মনে রাখবে তোমার নামে নয় , তোমার কাজে। প্রকৃতপক্ষে মানুষের মতো দেখতে হলেই সবাই মানুষ হয় না, মানুষকে মানুষ হতে গেলে মানবিক কাজ করতে হয় আর দার্জিলিং জেলার বিধান নগরের উৎসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেই কাজটাই করে দেখিয়ে দিলো। হ্যাঁ গতকাল শেষ হলো বিধান নগর উৎসব ২০২৪, তবে এই উৎসব যে মানুষগুলোর মুখে হাসি ফিরিয়ে দিলো সেই হাসি মুখগুলো জানান দেয়, উৎসব ফুরোলেও তার রেশ থেকে যাবে।
দার্জিলিং জেলার বিধান নগরে এই উৎসব হয়েছিলো, তবে উৎসব বলতে আমরা মূলত যেটা বুঝি, এই উৎসব ঠিক তেমনটা নয়,এই উৎসব ছিলো শুকনো মুখে হাসি ফোটানোর উৎসব। উত্তর বঙ্গের প্রচুর মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর একটা প্রয়াস ছিলো, কিছু মানুষকে সহায়তা করবার জন্য একটা সাহায্যকারী হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো। উত্তর বঙ্গের অনেক মানুষকেই এইদিন তাদের প্রয়োজন অনুসারে হুইলচেয়ার, ট্রাই সাইকেল, কানের মেশিন ও সেলাই মেশিন দেওয়া হয় এই উৎসবে। সকালে রক্তদান শিবির উদ্বোধন করেন রক ষ্টার বুলেট, এছাড়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী কাজল ঘোষ ও অধ্যাপিকা অসীমা সরকার। ছিলো বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও নৃত্য প্রতিযোগিতা। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন সমাজকর্মীকে রক্তদান শিবির করার জন্য সম্মান দেওয়া হয়, সম্মান পায় সাংবাদিক অলিপ মিত্র ও পরাগ বিশ্বাস। পুলিশ কর্মী বাপন দাসের চেষ্টা ও সহযোগিতায় প্রায় এক যুগ ধরে এই মানবিক উৎসব হচ্ছে বিধান নগরে। বাপন দাস কে এই উৎসব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,“ এই উৎসবের দিকে সারা বছর তাকিয়ে থাকে মানুষ।” এই বছর সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলো সোশ্যাল মিডিয়ায় সেরা খুশির ভান্ডার বাপ্পা, ফানি ভিডিও নির বর্মন ও গোপেন বিশ্বাস। এইভাবেই প্রতিবছরের মতো এই বছরও কেটে গেলো বিধান নগর উৎসব।