
আসানসোলে রহস্যের আঁধার, বৃদ্ধার মৃত্যু,ছেলে গুরুতর আহত, পোষা কুকুরের মৃত্যুতে স্তম্ভিত পুলিশ
কৌশিক মুখার্জী: আসানসোল:-
আসানসোলের একটি নিভৃত বাড়িতে উদ্ধার হল ৭৫ বছর বয়সি যূথিকা দাসের নিথর দেহ। তাঁর পাশেই হাতের শিরা কাটা অবস্থায় মিলল ছেলে অরবিন্দ দাসকে, যিনি এখন আসানসোল জেলা হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। এই ঘটনাকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে বাড়ির তিনটি পোষা কুকুরের রহস্যজনক মৃত্যু। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং বাড়ির নিচতলার এক ভাড়াটেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এই ঘটনা এলাকায় গভীর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে পৌঁছে তারা যূথিকা দাসের মৃতদেহ উদ্ধার করে। অরবিন্দের হাতের শিরা কাটা অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাঁর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। বাড়ির তিনটি সারমেয়ের মৃত্যু এই ঘটনার রহস্যকে আরও জটিল করে তুলেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, এটি হত্যা বা আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ।এই ঘটনার পেছনে কী কারণ লুকিয়ে আছে, তা খুঁজতে পুলিশ বাড়ির নিচতলায় বসবাসকারী ভাড়াটেকে আটক করেছে। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যূথিকা ও অরবিন্দ নির্জন জীবনযাপন করতেন, এবং তাঁদের কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতার কথা জানা ছিল না। তবে পোষা কুকুরগুলির মৃত্যু এই ঘটনাকে অভাবনীয় মোড় দিয়েছে।
এলাকার বাসিন্দারা এই ঘটনায় স্তম্ভিত। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সব সম্ভাব্য দিক খতিয়ে দেখছে। এই রহস্যের জট খোলার জন্য তদন্তে সূক্ষ্মতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনা কীভাবে উন্মোচিত হবে, তা নিয়ে এখন সকলের দৃষ্টি পুলিশের তদন্তের দিকে।