সমুদ্রের মায়াজালে
শিবানী চক্রবর্তী (শ্রীরামপুর, হুগলী)

অনুভবের ছোঁয়া টুকু এখনো ভুলতে পারিনি ছয় মাস আগে পুরী গিয়েছিলাম। তাই লিখে ফেললাম ফিরে এসে।
জোয়ারের টানে চক্রের বন্ধনে জীবনের পরিবর্তন,
বাস্তবের আবর্তনের বদ্ধতাই স্মৃতি রোমন্থন।
আমি শুনেছি সমুদ্রের গর্জনের গভীরতা,
আত্মার সাথে সাথে চুপি চুপি কয় কথা।
সমুদ্র তটে, মনের সাথে উথালি ঢেউ বিকুলিতে আছড়ে পড়ে,
নোনা জলের , স্বাদে
গোপন রহস্য জাগে অন্তরে।
এক দৃষ্টিতে উথালি ঢেউয়ে অনুভব প্রকাশ পায়,
সমুদ্র তটে, ঐ নীল গভীর চোখের মায়ায়,
এক দৃষ্টিতে আমি তাকিয়ে সমুদ্রের পাড়ে বসলাম,
সমুদ্রের ঢেউ ধীরে ধীরে আছড়ে পড়ল আমার সামনের দিকে,
আমাকে সকলে ডাকছে ওখান থেকে উঠে এসো আমার ইচ্ছে হলো আমি এখানে বসি, জল স্পর্শ করুক ।
সত্যি জলের ঢেউ আমাকে স্পর্শ করে শাড়ি ভিজিয়ে দিল ।
এক নিমেষে দিল সব ভাসিয়ে ঢেউয়ের ভেলায়,
কোথায় যেন দুলছি দোদুল দোলায়।
দুদিনের তরে মায়ার বন্ধনে
মন পাগল পারা,
তার নেই ঢেউয়ের শেষ সে যে আপন কাজে আপনি হারা।
তোমার গভীরের অতলে মুক্তার খেলা রাশি রাশি,
আকাশ ভরা তারাদের মায়া ভরা হাসি।
তোমার ঢেউয়ের তরঙ্গে চাঁদের উল্লাসে উঁকির ছায়া,
হৃদয় গহীনে।
তাই বারবার ফিরে ফিরে আসি,
জোয়ারের টানে,
যেন এক মায়ার বন্ধনে।

