
দেবীপক্ষের শুরুতেই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় মেতে উঠল দুর্গাপুরের খাঁট পুকুর গ্রামের বাসিন্দারা
সঙ্গীতা মুখার্জ্জী মণ্ডল, দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান-: কার্যত দুর্গা মূর্তি তৈরি করা শুরু হলেই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে পুজো পুজো গন্ধ। কাশফুল সেই গন্ধে আলাদা মাত্রা এনে দেয়। বিদ্যালয় ফেরত কচিকাচারা উঁকি দিয়ে ঠাকুর তৈরি করা দ্যাখে। মহালয়ার দিন থেকেই পুরোপুরি পুজোর আমেজ দ্যাখা যায়। প্রবাসীরা ধীরে ধীরে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে শুরু করে। সবার আগমনে গ্রামগুলো জমজমাট হয়ে ওঠে। ওদিকে মহালয়ার ভোরবেলায় গোটা রাজ্যজুড়ে বেতার তরঙ্গে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত কণ্ঠে ভেসে আসে 'যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তি রূপেণ সংস্থিতা...'। সেই পাঠ বাংলার আকাশে বাতাসে অন্য ধরনের অনুভূতি এনে দেয়। ব্যস্ততা ওঠে চরমে। অন্যদিকে ২ রা অক্টোবর মহালয়ার সন্ধ্যায় ধীরেন্দ্রনাথ মন্ডলের ভাবগম্ভীর কণ্ঠে শ্রুতি পাঠ এলাকার পুরো পরিবেশটাই পাল্টে দেয়। মন্ত্রমুগ্ধ করে তোলে দুর্গাপুরের খাঁট পুকুর গ্রামের বাসিন্দাদের। কারণ এই প্রথমবারের জন্য 'মণ্ডল' বাড়ির দুর্গা দালানে আয়োজন করা হয় এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার। ধীরেন্দ্রনাথ বাবুর শ্রুতি পাঠের রেশ ধরে অসাধারণ উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশন করেন গ্রামের মেয়ে আরোহী। তারপর একে একে

অন্তরা, সুচন্দা, ঈশিকা, প্রিয়া, সঙ্গীতা, মেঘা, অর্পিতা, সুস্মিতা, স্নিগ্ধা, শ্রেয়া, ত্রিশা,
তিতলি, স্নেহা, অঙ্কিতা এবং অনিন্দিতা ও আঁখি পরিবেশিত নৃত্য ও সঙ্গীত পুরো পরিবেশটাই পাল্টে দেয়। উপস্থিত দর্শকরা সবার ভূয়সী প্রশংসা করেন। কীভাবে প্রায় দু’টো ঘণ্টা কেটে যায় কেউ সেটা বুঝতেই পারেনা। দেবীপক্ষের শুরুতে স্নেহা রায়ের সহযোগিতায় প্রথমবারের জন্য আয়োজিত এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটির উদ্যোক্তা হলেন তিমির কান্তি ঘোষ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মেঘা ব্যানার্জ্জী। তার পরিচালনার গুণে সমস্ত অনুষ্ঠানটি অন্য মাত্রা পায়। উদ্যোক্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করে গ্রামের অন্যতম প্রবীণ ব্যক্তি সোমেশ মুখার্জ্জী বললেন, মহালয়ার দিন এই ধরনের অনুষ্ঠানের ভাবনার মধ্যে সত্যিই নতুনত্ব আছে। খুব ভাল লাগছে। আগামী দিনগুলো সবার ভাল কাটুক এই প্রার্থনা মায়ের কাছে করি।

