সেই রোদ্দুরে

বন্দে বন্দিশ (খড়দহ)

আজ অনেকদিনের পড়ে মেঘ সরিয়ে রোদ্দুর উঠেছে।
মেঘ হেসেছে আকাশের বুক জুড়ে,
সাগর বুকে বাতাস বইছে মৃদুমন্দে তিরতির করে।

ঘুমতে যাবার আগে একবার বলি একবার লিখি-
তুমি আমার আমি তোমারই।
আমার তুমি যাকে আমার দেহ থেকে মন আট কুঠুরির সবটাই বিলিয়ে দিয়েছি।
ভবের ঘরে সংসারে যে পরিপাটি সবটাই ভুলেছি।
তোমার মধ্যে প্রাণের উজান আমি ডুবেই মরেছি।
খাঁচার ভিতর অচিনপাখি তারেও যত্নে রেখেছি।
প্রেম সায়রের সাগর লহর তোমায় পেয়েছি।

সবার যখন ঝাঁপসা লাগে নিজের মুখের ছবি-
আয়নাতে মুখ অস্পষ্ট জেনো পর্দাটানা সবই।
নেই বিষাদের আলাদা কোনো রঙ,
জীবন যেমন বিবর্ণতায় আস্ত এক পৃথিবী।

ঠিক তখনি অবাক হয়ে দেখি!
সহসা আয়নার মুখ স্পষ্ট ভীষণ সেকি!
আমার আগে দাঁড়িয়ে তোমার ছবি!
ভ্রুযুগলের ইঙ্গিত রাখা ছায়াছবি।

বলছো হেসে প্রিয়া কেনো ধূসর এ মাধবী?
এই যে হাসি, এই যে বসন্তে আমার বাসন্তী-
বিপুল রঙের পাত্রখানি তোমার জন্যে সীমন্তিনী।
বিবর্ণতা ঢাকছে চারিদিক জীবন বুঝি বড্ড অমলিন।

একটি জীবন তারার মত আকাশ জুড়ে থাক।
যদি ফিরতে পারে ধুসর রঙে নীল মিশিয়ে কেউ,
আকাশ থেকে কিছুটা ধার করা রঙ নিয়ে ভুলতে বিষাদ
আজ অনেকদিনের পড়ে যুগল প্রেমের মহামিলণের আস্বাদে,
আমার মধ্যে জেগে থাকুক প্রেমিকচ্ছটার প্রেমের রাজপ্রাসাদে।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )