বন্যা দুর্গতদের কাহিনী
ড. ইসরাইল মিদ্দ্যা (খড়গপুর, পশ্চিম মেদনীপুর)

স্ত্রী – ওগো তুমি কি শুনছো বাচ্ছাটা না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
স্বামী – ওগো মোর প্রিয়, আমি যে বাবা! আমার কি কষ্ট হচ্ছেনা? কোথায় পাবো কলার ভেলা, কোথায় পাবো নৌকা যে যাবো ওই প্রান্তে খাবার আনতে।
স্ত্রী – তাহলে কী আমরা এভাবে মরব না খেতে পেয়ে এই বন্যায় রাস্তার মাঝে।
স্বামী – আমিযে বানিয়ে ছিলাম লক্ষ টাকার রাজপ্রাসাদ, আজ সবই তলিয়ে গেলো বন্যার জলে।
স্ত্রী – ওগো ছেলে যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে না খেতে পেয়ে। আমরা কী কোনো সাহায্য পাবনা সরকার থেকে।
স্বামী – নিশ্চই পাবো, কেনো পাবোনা। হয়তো বন্যার খবর এখনো নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছায়নি। কারণ এটাতো পশ্চিমবঙ্গ সবকিছুতেই তো দেরি হয়। হয়তো আমাদের মরার খবর পেয়ে লাশ তুলতে আসবে।
স্ত্রী – সরকার ছাড়া কি আমরা আর কোনোরকম ভাবে খাবারটুকুও পাবো না কোনো সংগঠন থেকে বা কোনো এনজিও থেকে।
স্বামী – নিশ্চয়ই পাবো। কোনো না কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তির চোখে আমাদের বন্যার অবস্থা, বন্যার খবর নিশ্চয়ই পৌঁছাবে উনাদের কানে। নিশ্চয়ই খাবার নিয়ে আসবে।
স্ত্রী – ওই দেখো না ওই প্রান্তে মনে হয় এক ছোট্ট লাল রঙের গাড়ি এবং এক ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি টুপি পরা ব্যক্তি গাড়ি থেকে নামছে! তাহলে কি ওনারা আমাদের জন্য খাবার নিয়ে আসছেন।
স্বামী – কই কই দেখি, সত্যিই তো মনে হচ্ছে পাশে আরো কয়েকজন আছে।
স্ত্রী – নিশ্চয়ই আমাদের বন্যার খবর পেয়ে আমাদের জন্য খাবার নিয়ে আসছেন। ওগো তুমি যাওনা, গিয়ে দেখো না আমাদিকে খাবার দেই কিনা।
স্বামী – নিশ্চই দেবে, কেনো দেবেনা।
স্ত্রী – ওগো শুনছি ওনারা আওয়াজ দিচ্ছেন সকলকে ত্রাণ নেবার জন্য। যাওনা তুমি।
স্বামী – হম যাই দেখি।
IHWO HEAD OFFICE থেকে – আমরা সকলের জন্য ত্রাণ নিয়ে এসেছি সকলের উপস্থিত কামনা করি।
স্বামী- স্যার আপনারা কী সরকারী দপ্তর থেকে এসেছেন।
Aziz Usmani II Honorary Doctorate Israil Middya – না আমরা International Human Welfare Organization থেকে এসেছি আপনাদের অসহায়তার কথা শুনে পাশে থাকার চেষ্টা করছি, হয়তো সারাজীবন না থাকলেও এই দুর্যোগের সময় সামর্থ মতো পাশে দাঁড়াতে এসেছি।
International human welfare organization সর্বদা সকলের পাশে আছে থাকবেন।