
কুম্ভমেলা- আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা, ফাইনাল এক্সপোজার :- কুম্ভমেলায় উপলক্ষ্যে সপরিবারে শাহীস্নান করতে প্রয়াগরাজ গিয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুড়িয়ার কেন্দা গ্রামের বাসিন্দা বিনোদ রুইদাস। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পদপৃষ্ঠ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিনোদের। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বিনোদের বাড়ি ছুটে আসেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। তিনি নিজের ফোন থেকে বিনোদের স্ত্রীর সাথে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথা বলিয়ে দেন। শুভেন্দু ফোনেই বিনোদের স্ত্রীকে এই বলে আশ্বাস দেন যে খুব দ্রুত উত্তরপ্রদেশ সরকার ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেবে। আশ্বাস মত চারজন ব্যাক্তি, যাদের মধ্যে তিনজন ছিলেন পুলিশের পোশাকে ও একজন সাধারণ পোশাকে, ক্ষতিপূরণের প্রথম কিস্তির নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা বিনোদের পরিবারের হাতে তুলে দিতে আসেন। আর এটা নিয়েই বিনোদের পরিবার সহ এলাকার মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে একাধিক প্রশ্ন। তাদের প্রশ্ন হলো, স্থানীয় প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে কীভাবে এতগুলো অর্থ নগদে দেওয়া হলো? এইভাবে কোনো সরকার কি নগদে ক্ষতিপূরণ দিতে পারে? সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে যেখানে ঢাকঢোল পিটিয়ে সাহায্য করা হয় সেখানে কেন এত গোপনীয়তা? এই বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ কীভাবে সংশ্লিষ্ট পরিবার ব্যাংকে জমা করবে? তাহলে কি এরমধ্যে কোনো গোপন রহস্য আছে? এরকম হাজারো প্রশ্ন তুলে ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এটা নিয়েই শুরু হয়েছে শাসক-বিজেপি তর্জা।
