
বালির ডাম্পার আটক করলো বারাবনি থানার পুলিশের, ১ লক্ষ টাকার জরিমানা
কৌশিক মুখার্জী: বারাবনি:- রাতের নিস্তব্ধতা চিরে চুরুলিয়ার পথ ধরে আসা দুটি ডাম্পার, বালির অতিরিক্ত ভারে যেন রাস্তার বুকে হাঁপাচ্ছিল। কিন্তু বারাবনি থানার পুলিশের তীক্ষ্ণ নজর তাদের ‘ভারমুক্ত’ করতে মুহূর্তও দেরি করল না। রবিবার গভীর রাতে তোঁতারাম মোড়ের কাছে এই ওভারলোড ডাম্পার দুটি ধরা পড়ে পুলিশের জালে। আটকের পর সেগুলি হস্তান্তর করা হয় বারাবনি ভূমি ও রাজস্ব আধিকারিকের (বিএলআরও) কাছে। সোমবার তদন্তে ফাঁস হল আসল রহস্য—চালানে লেখা বালির পরিমাণ আর ডাম্পারের ভার মিলছে না! ফলস্বরূপ, প্রতিটি ডাম্পারের উপর ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ টাকার জরিমানা আরোপ করা হল।
বিএলআরও আধিকারিক জানিয়েছেন, ডাম্পারে বালি বৈধ হলেও, চালানের নথিতে উল্লিখিত পরিমাণের তুলনায় বেশি বোঝাই ছিল। এই জন্যই জরিমানার নির্দেশ। ডাম্পার মালিকরা তৎক্ষণাৎ জরিমানার টাকা জমা দিয়ে তাদের গাড়ি মুক্ত করেন। কিন্তু গল্প এখানেই শেষ নয়। স্থানীয়দের মুখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ পুলিশের এই তৎপরতাকে সাধুবাদ জানালেও, অনেকে মুচকি হেসে বলছেন, “বালির ব্যবসায় এ তো মাত্র এক ফোঁটা বালি!”
ওভারলোড গাড়ির এই ‘দৌরাত্ম্য’ বারাবনির রাস্তায় নতুন নয়। রাস্তা ভাঙে, পরিবেশের ক্ষতি হয়, তবু কিছু চালকের লোভের চাকা ঘুরতেই থাকে। পুলিশের এই অভিযান যেন একটা জোরালো বার্তা—নিয়মের বাইরে গেলে ‘ভারী’ মাশুল গুনতে হবে। বিএলআরও আধিকারিক জানালেন, অবৈধ বালি পরিবহন ও ওভারলোডিং রুখতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। স্থানীয়রা এখন অপেক্ষায়, এই জরিমানা কি শুধু পকেটে টান পড়াবে, নাকি বালির অবৈধ ব্যবসায় লাগাম পরাবে? সময়ই বলবে, এই ‘চালান’ কতটা কার্যকর হয়, নাকি বালির ভারে তাও মিলিয়ে যায়।