
বিয়ের আগে সর্বস্ব চুরি, কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা
কৌশিক মুখার্জী: দূর্গাপুর:- শিল্পনগরী দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর বিদ্যাসাগর পল্লীতে চুরির ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন মধুমিতা পাল নামের এক বিধবা মহিলা। জানা গেছে মেয়ের বিয়ের জন্য একটু একটু করে কেনাকাটা শুরু করেছিলেন ওই মহিলা। বিয়ের আগে সর্বস্ব চুরি হওয়াতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা মধুমিতা। বুধবার রাতের অন্ধকারে হৈ চৈ কান্ড বিদ্যাসাগর পল্লীতে।
চুরি গেছে প্রায় সোনা, রুপো এবং নগদ মিলিয়ে দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। দুর্গাপুরের ওই এলাকার একটি বাড়িতে থাকেন মধুমিতা পাল নামের এক বিধবা মহিলা। তার মেয়ে কর্মসূত্রে থাকে হায়দ্রাবাদে। মধুমিতা দেবী দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। অন্যান্য দিনের মতো সকালে কাজে গিয়ে রাত প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি ফিরে এসে দেখেন বাড়ির দরজা ভাঙা। ভেতরে ঢুকে দেখেন সমস্ত কিছু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। তারপরেই তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যায়। মধুমিতা পালের অভিযোগ,”আমার স্বামী অনেকদিন আগেই মারা গেছে। আমার মেয়ে কর্মসূত্রে হায়দ্রাবাদে থাকে। আমার মেয়ের বিয়েও ঠিক হয়েছে। তাই একটু একটু করে মেয়ের বিয়ের জন্য কেনাকাটা শুরু করেছিলাম। সেইসব কেনাকাটার জিনিস বাড়ির আলমারিতে এবং বাড়িতেই ছিল। আমি অন্যান্য দিনের মতো কাজে গেছিলাম। বাড়ি ফিরে এসে দেখি দরজা খোলা। ভাবলাম আমার মেয়ে আগেই চলে এসেছে সারপ্রাইজ দেবে বলে। কিন্তু মেয়ের কোন শব্দ পেলাম না। দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই আমার চোখ কপালে উঠলো। বেশি সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। আলমারিও ভাঙা। আমি খুলে দেখি মেয়ের বরকে আশীর্বাদ করার জন্য একটি আংটিও কিনেছিলাম। বেশ কিছু শোনার অলংকার ছিল, এবং নগদও ছিল আলমারিতে। সবকিছুই চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। দুটি, ঘড়ি সহ বাড়িতে থাকা একাধিক মূল্যবান জিনিস নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।”স্থানীয় বাসিন্দা অজিত কুমার সিং বলেন,”আমাদের এলাকার শৃঙ্খলাবদ্ধ। এলাকার মানুষ কখনও এই কাজ করবে না। তবে ওই মহিলার বাড়ির ভেতর থেকে সোনা, রুপোর অলংকার নগদ টাকা সবই চুরি গেছে। দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”পুলিশ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে।
