তটিনী
মৌসুমী মুখার্জী (খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর)

হরিণীর মত চঞ্চল মন অথচ ধীর স্থির শান্ত….
তটিনী ফিরে এসে পাড়ে ধাক্কা খায়,
আবার বয়ে চলে,তার কাজই আবর্জনা দূর করা
জলের স্রোতে,
নিজে নিজেই মন ভালো রাখার চেষ্টা
কোন্ এক পাহাড় তাকে চিরদিনের জন্যে নামালো….
ডাকলেও সাড়া দেয় না,একটা প্রতিধ্বনি– অনুরণন চেয়েছিল,
শোনে — ভীষণ অস্পষ্ট।
গোঙানির মত ফিরে আসে পাক খেয়ে,
হতোদ্যম নদী।
ভুলুক সব কিছু—-পাহাড়,
লণ্ডভণ্ড হয়ে যাক …
কিছু বয়ে যায় না তার।
সাথে আছে মণি মুক্তর মত নুড়ি পাথর,কোলঘেঁষে..
পাহাড়ের গা থেকে খসে পড়া।
পাহাড় জানুক ভালোবাসা পেয়ে হারানোর পরিণাম…
অন্তবিহীন পথ, সমুদ্রের হাতছানি মিলিত হওয়ার ,
মিশে যাবে তটিনী জলতরঙ্গ মনে—তাথৈ আনন্দে,
একবুক হতাশা, নীরব থাকার অজুহাত– মনসিজ।
নদী এগিয়ে চলে ক্রমশঃ– ভার বহন করে মনের,
ফের যাত্রা অসংযত, আহত, সমস্ত শক্তি একজোট করে….
কিন্তু…. পাথরের বড় বড় চাঁই
গতিপথ শ্লথ করে …
প্রতিহত হয় মনস্কামনা,
বারবার ফিরে তাকায় একটা হড়কা বানের আশায়,
আসুক তোলপাড় করে দিক …