অস্তিত্ব
মহুয়া বিশ্বাস (বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা)

সে খরস্রোতা নদী হয়ে বয়ে যেতে চেয়েছিল বহুযুগ ধরে।
হঠাৎ দেখলো প্রকাণ্ড বাঁধ!
সে আটকে পড়লো সীমানার গণ্ডীর মধ্যে।
পিছনে ফিরে আসতে আসতে দেখলো বিশাল পাহাড় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে…
সেখানে ধাক্কা খেয়ে ফিরে এলো,
অল্প গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ জীবন, না রইলো স্রোত, না রইলো বহমানতার আবেগ!
হঠাৎ একদিন কালো হয়ে এলো আকাশ, উথাল পাথাল ঝড়ে একূল থেকে ওকূলে প্রবল ধাক্কায় বুকের ভিতর তোলপাড় করে শরীর ছিন্নভিন্ন করে দিল।
তারপর ভয়ঙ্কর শব্দে বজ্র বিদ্যুত একনিমেষে শুষে নিল সব জল।
কিনারে যে প্রকাণ্ড গাছটি আমায় ছায়া দিত…
তাকিয়ে দেখি, বজ্রবিদ্যুত পুড়িয়ে দিয়েছে ওর হাত, পা, মাথা..
কিছুই অবশিষ্ট নেই!
যেটুকু অবশিষ্ট ছিল… পলি জমে জমে আমার বুকের উপর এক মস্ত পাহাড় দাঁড়িয়ে রইলো!
প্রচণ্ড আর্তনাদ করলাম, চিৎকার করলাম, কিন্তু আমি ধীরে ধীরে
নিস্তেজ হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম চিরতরে!
আমার অস্তিত্ব মাটির গভীরে মিশে গেল ;