খিল দিয়েছি দরজায়

রীতিশা পাল (বনগাঁ, উত্তর চব্বিশ পরগণা)

প্রবেশ দ্বারে খিল দিয়েছি আজ,
একদিন ছিল অবাধ প্রবেশ,
যতবার প্রবেশ করেছে ততবার আহত হয়েছি
তাই সময়ের দরজায় আজ ঝুলিয়েছি তালা।
আজ পাথর আহত হয় আমাতে,
অথচ পাথরের করুণায় একদিন হৃদপাঁজর ছিল তাজা লাল,
কতবার নরম মাটিতে কোদাল চালিয়েছে
ক্রমাগত অশ্রুবর্ষণে সিক্ত চোখ দুটো তাইতো ট্যারা হয়ে দেখতে শিখেছে।
শব্দ সাজানোর কঠিন অদম্য জেদ অথচ আমি স্কিৎজোফ্রেনিয়ার রোগী হতে চাই সময়ের কাছে
অন্ধকার ঘরটাতেই মানিয়ে গেছি বেশ,
দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে হ্যারিকেন খুঁজে বেড়াই না
আলোকে সমাধিস্ত করেছি নিজ হাতে ।
অন্ধকারের পাহারায় স্মৃতি রক্ষা কমিটি,
অথচ স্মৃতির ধূসর পান্ডুলিপি গুলো একদিন বিলি করতে চেয়েছিলাম।
জ্যোৎস্নার খিদেয় মাঝেমধ্যে জানালা খুলে বসি,
আধফালি চাঁদ প্রশ্ন করে…..
কেন জোনাকির প্রবেশ নিষিদ্ধ আমার ঘরে!
উত্তর দিইনা ,
সময়ের উঠনে পা ছড়িয়ে বসে দিব্যি ঘুমিয়ে পড়ি
তক্তাপোশ বিছাই না পাছে আবারও রক্তাক্ত করে যায় পাশে থাকার সুযোগে !
আলোর সমাধির দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে,
আমি তো আজও ভিখারি নই দাতা, তোমরা কি সক্ষম গ্রহণে?
না,বজ্রপাতের অট্টহাস্য আমি শুনতে চাই না,কান চেপে রেখে বলি বৃষ্টি ফোটা সোঁদা মাটির গন্ধ এসব আমার জন্য নয়।
খিল দিয়েছি আজ সময়ের দরজায়….।।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )