অভিমানী বিদ্যাসাগর
মালবিকা পণ্ডা (ডিরোজিওনগর, পশ্চিম মেদিনীপুর)

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাজেদি লোক,
চেয়েছিলেন বিধবাদের আবার বিয়ে হোক!
ইংরেজ শাসক সমাজ ব্যবস্থা সব করি তুচ্ছ,
খালি গা, হেঁটো ধুতি মাথা তবু উচ্চ।
বলতো সবাই ঈশ্বরচন্দ্র যোশুরে এক কই,
কথামালা বর্ণ পরিচয় লিখলেন কত বই।
স্বার্থপর লোলুপ সমাজ আটকে ছিল পথ,
প্রতিকুলতার মধ্যে করেন বাল্যবিবাহ রদ।
স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারে নেন অগ্রনী ভূমিকা,
সমাজ ছিল এক ধারে, নিঃস্ব তিনি একা।
যেমন জেদী বিদ্যাসাগর তেমন অভিমানী।
সন্তানকে ত্যাজ্য করতে একটুও ভাবেন নি।
যেমন ছিল মনের জোর তেমন উচ্চ শীর
তুমি হলে সিংহ শাবক মেদিনীপুরের বীর।
বিদ্যাসাগর দয়ারসাগর রসসাগর তুমি,
রামকৃষ্ণের ক্ষীরের সাগর ধন্য জন্মভূমি।
ইংরাজ শাসক কইতো কথা মাথা নিচু করে সাঁওতালদের সঙ্গে শেষ জীবন কাটান কার্মাটারে।
যা ছিল সব বিলিয়ে দেন নিজেকে করে নিঃস্ব,
সশ্রদ্ধ প্রণাম জানায় আজকে সারা বিশ্ব।

