
অজয়ে নৌকাডুবির হাহাকার
কৌশিক মুখার্জী: জামুড়িয়া:-
আসানসোলের জামুড়িয়া সিদ্ধপুরে অজয় নদী যেন বিপদের মঞ্চ! গতকাল বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়ায় পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সাঁকোর ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই, রাতে নৌকায় পারাপারের সময় মাঝ নদীতে আটকে যায় যাত্রীরা। অজয়ের স্রোতে নৌকা পাইপলাইনে জড়িয়ে বিপর্যয়, যাত্রীদের মনে আতঙ্ক।
খবর পেয়ে জামুড়িয়া থানার পুলিশ, বিডিও, আসানসোল মহকুমা শাসক, সিভিল ডিফেন্স ও উদ্ধারকারী দল ছুটে আসে। সাত ঘণ্টার অক্লান্ত চেষ্টায় ১৬ জন বীরভূমের যাত্রী নিরাপদে উদ্ধার। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—বাঁশের সাঁকোর এই দুর্বলতা আর কতদিন? স্থায়ী সেতুর অভাবে কত ভোগান্তি সইতে হবে?অজয় নদী, নামের মতোই ‘অজেয়’, যেন ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। ভাঙা সাঁকো, আটকে পড়া নৌকা—সব যেন নাটকের দৃশ্য। প্রশাসনের তৎপরতা প্রশংসনীয়, তবে এই অস্থায়ী সমাধান কি যথেষ্ট? পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের মানুষ এখন মজবুত সেতুর দাবিতে সোচ্চার। অজয়ের জল যেন আর বিপদ না বয়, বরং সেতুর প্রতিশ্রুতি আনে—এটাই সকলের কামনা।
এই প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক ( সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, নৌকায় থাকা সবাইকে সুস্থ অবস্থায় ভোর রাত তিনটের মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা সবাই বীরভূমের বাসিন্দা। কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন গোটা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।