গল্প লেখার প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক জিতলেন বার্ণপুরের গৃহবধূ

গল্প লেখার প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক জিতলেন বার্ণপুরের গৃহবধূ

রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জ্জী, বার্ণপুর, পশ্চিম বর্ধমান -: 

       স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড অর্থাৎ ‘সেল’ এর উদ্যোগে ও ‘MyGov’ এর সহযোগিতায় জাতীয় স্তরে একটি গল্প লেখার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল – ‘সেল: সুখের সংস্কৃতি গড়ে তোলা, যেখানে প্রতিটি হাসি গুরুত্বপূর্ণ’। সাড়া দেশ থেকে প্রায় ১০০০ টি গল্প জমা পড়ে। সম্প্রতি প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষিত হয়। ১০ জন বিজয়ীর মধ্যে ৮ টি পুরস্কার জিতেছেন মহিলারা। 

       পদক বিজেতাদের অন্যতম হলেন বার্ণপুরের রিভারসাইড টাউনশিপের বাসিন্দা নীতু কুমারী।

হিন্দি বিভাগে রৌপ্য পদক জিতে তিনি এলাকার গৌরব বৃদ্ধি করেন। তার এই সাফল্যে এলাকাবাসী খুব খুশি।

       প্রসঙ্গত, উচ্চ শিক্ষিতা নীতু কুমারী দেবী হলেন আইএসপির সিনিয়র ম্যানেজার দীনেশ কুমারের স্ত্রী। লেখালেখির প্রতি স্বামী-স্ত্রীর প্রবল আগ্রহ। দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে সুযোগ পেলেই দু’জনেই সাহিত্যচর্চায় মেতে ওঠেন, একে অপরের লেখা সম্পাদনা করেন। এমনকি তারা যৌথভাবে একটি কবিতা সংকলনও লিখেছেন। বর্তমানে নীতু দেবী নদীর তীরবর্তী জনপদে ঘটে যাওয়া  সত্য ঘটনা অবলম্বনে একটি গল্প লিখছেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী নীতু দেবী গল্প লেখার  পাশাপাশি মধুবনী চিত্রকলায় যথেষ্ট দক্ষ। 

         স্ত্রীর সাফল্যে স্বামী দীনেশ কুমার খুব খুশি। তিনি নিজেও লেখালেখিতে খুব আগ্রহী। মোবাইল ছেড়ে  নতুন প্রজন্মকে তিনি বইয়ের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। 

       এই সাফল্যের পেছনে স্বামীর অবদানের কথা স্বীকার করে নীতু দেবী বললেন, স্বামীর পরামর্শ ও সহযোগিতা না পেলে আমি কখনোই এই সাফল্য পেতাম না। মোবাইলের আসক্তি থেকে দূরে সরিয়ে সন্তানদের বইমুখী করার জন্য  তিনি অভিভাবকদের কাছে আবেদন করেন। তিনি বলেন যত তারা বইমুখী হবে তত তাদের জ্ঞানের ভাণ্ডার বাড়বে।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )