
শ্যামলা অঞ্চলের ছটঘাট পরিদর্শনে পঞ্চায়েত প্রধান ও পাণ্ডবেশ্বর থানার ওসি
রাকেশ লাহা, জামুড়িয়া, পশ্চিম বর্ধমান :-
আগামী সোমবার ছট পূজা, অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরই হিন্দিভাষী মানুষজন মেতে উঠবে ছট উৎসবের আনন্দে।
তবে বর্তমানে, উৎসব শুধুমাত্র ধর্ম বা জাতের উপর নির্ভর করে দাঁড়িয়ে নেই, এখন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। ঠিক এই কথায় বিশ্বাসী শ্যামলা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অসিত মন্ডল। দুর্গোৎসব থেকে শুরু করে মুসলিম সম্প্রদায়ের ঈদ এমন কি এলাকার আদিবাসী জনজাতির মানুষজনদের বান্দনা পরব সবেতেই পঞ্চায়েত প্রধান অসিত মন্ডলের একান্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে দেয় যে ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
যেহেতু সামনেই হিন্দিভাষী মানুষজনের ছট পুজো, তাই ছট ব্রতিদের সুবিধার্থে বিভিন্ন এলাকায় নদী, পুকুর বা বড় কোন জলাশয়ে নামার পথে যাতে কোনরকম কোন সমস্যার মুখে পড়তে না হয় ছট ব্রতীদের, তাই বিভিন্ন এলাকায়, পূজা কমিটি, সমাজসেবী মানুষজন এমনকি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের তত্ত্বাবধানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।
জামুরিয়া বিধানসভার শ্যামলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ বেশ কিছু গ্রাম রয়েছে সেখানে বহু হিন্দিভাষী মানুষজন বসবাস করেন, তাই অন্যান্য জায়গার মতো শ্যামলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও মহা ধুমধাম এর সাথে ছট পূজা পালিত হয়। নিকটে অজয় নদী থাকায় সেই অজয় নদীতেই এই উৎসব পালন করে হিন্দিভাষী মানুষজন। তাই এদিন শুক্রবার সেই অজয় নদীর ছট ঘাট গুলি পরিদর্শনে এলেন শ্যামলা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অসিত মন্ডল এবং পাণ্ডবেশ্বর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মানব ঘোষ, সাথে ছিল ছট পূজা কমিটির সদস্যরাও। এদিন সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পঞ্চায়েত প্রধান অসিত মন্ডল জানায়, অন্যান্য জায়গার মতো শ্যামলা অঞ্চলেও বহু হিন্দিভাষী মানুষজন বসবাস করেন এখানে মহা ধুমধাম এর সাথে পালিত হয় ছট উৎসব। তাই অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা দিন তার জন্য আমি, পাণ্ডবেশ্বর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং এলাকার ছট পূজা কমিটির সদস্যরা মিলে ছটঘাট গুলি পরিদর্শন করলাম। তিনি আরো জানান, ছট ব্রতিদের যাতে কোনরকম কোন সমস্যায় পড়তে না হয় তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনকি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

